জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ব্রিজগোপাল হরিকিষান লোয়া স্বাভাবিক ভাবেই মারা গিয়েছিলেন। তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, বিচারক লোয়া স্বাভাবিক ভাবেই মারা গিয়েছিলেন। সেই মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে, তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করার কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে বলেছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ, রাজনৈতিক টেক্কা দিতেই ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর কোনও মামলা করা যাবে না বলেও কার্যত জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
১ ডিসেম্বর, ২০১৪ মারা গিয়েছিলেন বিচারক লোয়া। সেই সময় লোয়ার এজলাসে গুজরাতের সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা মামলার শুনানি চলছিল। ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অভিযোগ, অমিতের তরফে বিচারক লোয়াকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। লোয়ার মৃত্যুর পরে ওই মামলার দায়িত্ব অন্য বিচারকের হাতে আসে। আর মাসখানেকের মাথায় অমিত বেকসুর খালাস পেয়ে যান।
এ দিনের রায়ের পর মামলার অন্যতম আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ তুলেছেন, অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। এই মামলার অন্যতম মামলাকারী, বম্বে ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ আবদি জানিয়েছেন, তাঁরা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন। সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে বলেছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ, রাজনৈতিক টেক্কা দিতেই ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর কোনও মামলা করা যাবে না বলেও কার্যত জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
রহস্যে মোড়া কারণ, কিউবায় আক্রান্ত ব্রেন একাধিক মার্কিন কূটনীতিকের
এ দিনের রায় নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয়রা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। বেশির ভাগ ভারতীয়, তার মধ্যে যাঁরা বিজেপিতে আছেন তাঁরাও, অমিত শাহের ব্যাপারে সত্যিটা জানেন। ওঁর মতো লোকেদের ধরার জন্য সত্যের নিজের পথ রয়েছে।’
Indians are deeply intelligent. Most Indians, including those in the BJP, instinctively understand the truth about Mr Amit Shah. The truth has its own way of catching up with people like him.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 19, 2018
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে অন্য দুই বিচারপতি ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এ এম খানউইলকর। দু’জনেই মহারাষ্ট্রের। তাই তাঁদের বেঞ্চে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। একই বিষয়ে মামলায় বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আদালত এ দিন জানিয়েছে, যে ভাবে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা বিচার ব্যবস্থার উপর আঘাত।