জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এজেসি বসু রোড উড়ালপুল নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল। সকাল থেকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই ভিডিওয় দেখা যায়, ধুলোর ঝড় নেমে আসছে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল থেকে। সেতু ভাঙাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই শহরবাসীর আতঙ্কের শেষ নেই। ওই ভি়ডিও দেখে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, তবে কি ভেঙে পড়ছে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল? কলকাতা পুলিশের টুইটার পেজে এক নাগরিক এ বিষয়ে টুইট করেন। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার উড়ালপুলের উপরে ঝাঁট দিয়ে ধুলো নিকাশি পাইপে ঢেলে দিয়েছিলেন সাফাইকর্মীরা। কিন্তু সেই পাইপ ভাঙা ছিল। কাজেই সেই ভাঙা পাইপ বেয়ে সেই ধুলো নেমে আসে এজেসি বসু রোড আশপাশের অন্য রাস্তাঘাটে।
মাঝে মাঝেই নাকি এমন ভাবে পরিষ্কার করে উড়ালপুল থেকে ধুলো ও জল ফেলা হয় বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। সেই ধুলো এবং জলে পথচারী থেকে মোটর সাইকেল এবং গাড়িচালকদের প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে বলে অভিযোগ। এ দিনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরাও। তাঁদের মতে, বায়ুদূষণের নিরিখে কলকাতা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। তার পরেও এ ভাবে ধুলো ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণের কী কারণ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের নিকাশি পাইপ ভাঙা, তা দিয়ে যে প্রায়ই ধুলো, কাদা ও জল নেমে আসে, সে কথা নাকি জানতই না কেএমডিএ। এমনটাই সূত্রের খবর।
কাঁথি আদালত চত্বর থেকে পালাল বিচারাধীন বন্দিরা, রুদ্ধশ্বাস নাটক শেষে ধরা পড়ল ১ জন
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ভিডিওর কথা জানতে পেরে কয়েক জন অফিসারকে পাঠানো হয় উড়ালপুলের উপর। জানা যায় সকালের দিকে সেতুর উপরে এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষের পাঠানো ঠিকা শ্রমিকরা সেতুর রুটিন সাফাই এবং রঙের কাজ করছিলেন। সেই কাজ করার সময়তেই তাঁরা ধুলো নীচে ফেলেন। সেই সময় কয়েক জন পথচারী সেই ছবি তুলে নেন। সেখান থেকেই গুজব শুরু হয়।
এর পর কলকাতা পুলিশ তাদের টুইটার পেজে জনগনকে উদ্দেশ্য করে জানায়, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সেখানে লেখা হয়, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের উপর ঝাঁট দেওয়ার কাজ চলছিল। পরিষ্কার করার কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁরা ঝাঁট দেওয়ার পর সেই ধুলো ফ্লাইওভারের নিকাশি পাইপ দিয়ে নীচে ফেলে দেন। সেই ধুলো কোনও ভাবে পাইপের বাইরে দিয়ে নীচে পড়তে থাকে। সেটা দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় সবার মধ্যে। তবে পাইপ যে ভাঙা ছিল, সে কথা আর পুলিশের তরফে উল্লেখ করা হয়নি।