দাম কমল পেট্রল, ডিজেলের, লিটার প্রতি আড়াই টাকা, রাজ্যও কর কমাক চায় কেন্দ্র

দাম কমল পেট্রল, ডিজেলেরদাম কমল পেট্রল, ডিজেলের

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দাম কমল পেট্রল, ডিজেলের, লিটার প্রতি আড়াই টাকা। দেশবাসীর নাকাল অবস্থা ঘোচাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন।

এ দিন অর্থমন্ত্রী তেল কর লিটার প্রতি দেড় টাকা কমানোর কথা বলেন। পাশাপাশি তেল কোম্পানিগুলিতেও ১ টাকা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এক ধাক্কায় লিটার প্রতি  আড়াই টাকা দাম কমল পেট্রল, ডিজেলের। আজ মধ্যরাত থেকে নয়া ওই দাম কার্যকর হবে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। তেল করে আড়াই টাকা ছাড় দেওয়ায় রাজকোষের ক্ষতি হবে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অরুণ।

অরুণ জেটলি জানান, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণেই ভারতীয় বাজারে পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন রাজ্য সরকারগুলির কাছেও তেলের দামে আড়াই টাকা ভ্যাট কমানোর আর্জি জানিয়েছেন। মন্ত্রীর দাবি, তা হলেই সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে পেট্রল, ডিজেলের দাম পাঁচ টাকা কমবে। অরুণ জেটলি এ দিন বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত রাজ্য সরকারগুলিও এই নীতি অবিলম্বে চালু করবে।’’ ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র তেলের দামে আড়াই টাকা ভ্যাট কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মোটেও খুশি নন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আড়াই টাকা কমিয়ে কী হবে? তাঁর মতে, ১০ টাকা কমানো উচিত ছিল।

এয়ারটেল এ বার আপনাকে দিচ্ছে ফ্রিতে নেটফ্লিক্স ব্যবহারের সুবিধা

বেশ কিছু দিন ধরেই ডলারের সাপেক্ষে রোজ পতনে থই খুঁজে পাচ্ছে না টাকার দর। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমারও লক্ষণ নেই। তাই দেশে পেট্রল, ডিজেলের দরে সাধারণ মানুষকে কিছুটা অন্তত স্বস্তি দিতে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রকে বাড়তি চাপে রাখতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম দাবি জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে ওই দুই জ্বালানিকে জিএসটির আওতায় আনুক মোদী সরকার। যদিও এখনই তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মোদী সরকারের তরফে দাবি করা হয়।

দেশের অর্থনীতি ক্রমশ সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে বলে বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানোর মধ্যে দিয়ে বিরোধীদের একটা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করল মোদী সরকার, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।