জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আমপান তাণ্ডবে তছনছ গোটা বাংলা। বুধবার সারারাত নবান্নে থেকেছেন। সারা খোলা ছিল পুরসভা। সেখানে নিয়মিত কাজ চলেছে। পর দিন সকালেও একইভাবে কীভাবে হবে উদ্ধারকাজ সেই আলোচনা সেরে মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছিলেন, ‘‘দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে আমাদের অফিসের অর্ধেক। তাণ্ডব চলছে বনগাঁ-হাবড়ায়। নদীমাতৃক রাজ্য আমাদের, সব জায়গা জলে একাকার।’’ তখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও দেখা গিয়েছে আতঙ্ক, দেখা গিয়েছে যন্ত্রণা।
বলছিলেন, ক্ষতি হয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা তা যে লাখ ছাড়িয়ে যাবে না তা কে বলতে পারে। নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে শস্য খেত। নষ্ট হয়ে গিয়েছে কত টাকার শস্য। ভেসে গিয়েছে গ্রাম। ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার বাড়ি।
মমতা বলছিলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে পাঁচ লাখ মানুষকে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার প্রথম কাজ। গোটা রাজ্যে ধ্বংসের পরিস্থিতি বুঝতে ১০-১২ দিন সময় লাগবে। একদিনে কিছু বোঝা যাবে না।’’
একরাশ হতাশা নিয়ে বলছিলেন, ‘‘ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বারাসত, বনগাঁ মহকুমা, সুন্দরবন, গঙ্গাসাগর সব শেষ হয়ে গিয়েছে।রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, হাবরা সব শেষ। হাওড়ার অবস্থা খারাপ।’’ এর মধ্যেই আবার সবাই মিলে এক সঙ্গে উঠে দাঁড়ানোরও বার্তা দিয়েছেন তিনি।