জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: প্রবল বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে-র জেলাগুলোতে। যার সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পাহাড়ি এলাকায়। এতদিন প্রচন্ড গরমে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা ছিল উত্তরের জেলাগুলোর। সেই সময় প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে, যা এখনও চলছে। পুজোর মধ্যেও গরমে নাজেহাল হতে হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষদের। যেখানে এই সময় সেখানকার পরিবেশ উপভোগ্য হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ বেড়াতে যায় পাহাড়ে বা ডুয়ার্সে। তবে এবারের চিত্রটা একদমই আলাদা। পুজো শেষ হতেই যখন পর্যটকের ঢল নেমেছে তখনই বৃষ্টিতে, ধসে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। সোমবার থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। যা মাঝরাত থেকে প্রবল আকাড় ধারণ করে।
মঙ্গলবার সারাদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে। যার ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গার। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করা হয়েছে সান্দাকফুর পথে ট্রেনিংয়ে যাওয়া। এদিনই রিম্বিকে গাছ উপড়ে পড়েছে। নেমেছে বড় ধস। যাতে বড় বিপদ না হয় সে কারণেই এই ট্রেকিংরুট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আপাতত। কালিম্পং, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে প্রচুর পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গরুবাথানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ডুয়ার্সে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন নদীর জল বিপদ সীমর উপর দিয়ে বইছে। যে কোনও সময় তা বিভিন্ন জনবসতীপূর্ণ এলাকায় ঢুকে বিপদ বাড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পথে, তাকদা, রিম্বিকের মতো এলাকায় ধস নেমেছে। বৃষ্টি না কমলে তা মেরামত করাও কঠিন। তাকদা-তিনচুলে ও কালিঝোরা-রংপো যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেই সব জায়গায় অনেক পর্যটক আটকে রয়েছে বলে খবর। ধসে ভেঙে লাভার রাস্তার। সিকিমের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। তিস্তা নদীতে জল বাড়ায় সতর্কতা জারি হয়েছে।
তাকদায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তাতে কারও প্রানহানি হয়নি। সিকিমের পথে একটি গাড়ির উপর ধস নামায় সেটি বেশ খানিকটা নিচে পড়ে যায়। তবে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চোট গুরুতর নয়। কিন্তু বড় কিছু হতেও পারত। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের বাইরে যেতে বাড়ন করা হয়েছে। প্রচুর পর্যটক দিন কলকাতা ফেরার ট্রেন মিস করেছেন। শিলিগুড়িতেও প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবনের উপর প্রভাব পড়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুরেও প্রবল বৃষ্টি চলবে আগামী ২৪ ঘণ্টা। বৃহস্পতিবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস রয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)