জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড ও সংলগ্ন এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় যেমন ভূমিধস দেখা দিয়েছে তেমনই নদীর জল বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে বন্য পরিস্থিতি। সব মিলে গোটা উত্তরাখণ্ডে স্তব্ধ জনজীবন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। প্রচুর মানুষ নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছে প্রচুর পর্যটক। ছুটির সময় চলছে। তার উপর গত বছর কোভিডের কারণে পুজোর ছুটি পুরো ভেস্তে গিয়েছিল। এবার প্রচুর মানুষ বেড়াতে বেরিয়েছে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক দুযোর্গে বিপদে পড়েছেন তাঁরাও।
গত কয়েকদিন ধরে বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল কেরালা। তার মধ্যেই গত তিনদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে।কয়েকমাস আগেও বৃষ্টিতে উত্তর ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। আবার একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে। গত কালই দেখা গিয়েছিল, নৈনিতালের নৈনি লেকের জল বেড়ে সেখানকার বিখ্যাত মল রোড প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি এখনও সামলানো যায়নি।
অন্যদিকে, দেরাদুন, হরিদ্বার, আলমোরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার বাহিনী নামানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকার্যে ১০টি দল যোগ দিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ব্রিজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর সব দৃশ্যের ছবি, ভিডিও ধরা পড়েছে। যাত্রী বোঝাই একটি গাড়ি জলের তোরে ভেসে যাচ্ছিল। সেটিকে ক্রেন দিয়ে উদ্ধার করে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে আটকে গিয়েছে যান চলাচল। বাকি দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে নৈনিতালের মতো পর্যটন কেন্দ্রের।
ইতিমধ্যেই স্থগিত রাখা হয়েছে চারধাম যাত্রা। সাধারণের বাড়ির পাশাপাশি হোটেলগুলোর একতলায়ও জল জমেছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে তার ভিতর মানুষ ছিল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, প্রবল তুষারপাতে বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী যাত্রাও। এদিকে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের নানক সাগর ড্যামের সবগুলো গেট। তাতে আরও বেশি পরিমানে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)