জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভবানীপুরে ভোট পড়ল কম, বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ। তবে তার ভিতরেও বড় ব্যবধানে জেতার আশা দেখছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মুক্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিতে আসেন বিকেল সওয়া তিনটে নাগাদ। মিনিট কয়েকের মধ্যেই ভোট দিয়ে তিনি বেরিয়েও যান। গত ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথ নেন মমতা। তাই ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধানসভার সদস্য হয়ে সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে হত। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২১ মে পদত্যাগ করেন। সেই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হন মমতা।
ভবানীপুরে কত ভোট পড়তে পারে, তা নিয়ে দোলাচল ছিল সব দলেরই। ভবানীপুরে ভোট পড়ল কম যদিও। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৫৩%-এর কিছু বেশি। ভোটগ্রহণ চলেছে প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত হিসেব জানা যাবে আজ, শুক্রবার। প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, ভোটের হার শেষ পর্যন্ত ৬০%-এর কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।
দক্ষিণ কলকাতার অনেকটা অভিজাত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভবানীপুরে ভোটের অতীত পরিসংখ্যান মাথায় রাখলে এ বারের ভোটের হার একেবারেই অভিনব নয়।
কয়েক মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬১.৭৯%। তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন প্রায় ২৮ হাজার ভোটে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে ভোটের হার ছিল ৬৬.৮৩%। মমতা সে বার জিতছিলেন ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
আবার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের ভবানীপুরে যে উপনির্বাচনে জিতে মমতা প্রথম বিধায়ক হন, সে বার ভোট পড়েছিল ৪৪.৭৩%। মমতা জয়ী হয়েছিলেন ৫৪ হাজার ভোটে।
রাজ্যের তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। সুব্রত এবং ফিরহাদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এই অভিযোগ নিয়ে কমিশনে চিঠিও লিখেছে তারা। সুব্রত বা ফিরহাদ দু’জনেই পাল্টা দাবি করেছেন, নিয়ম ভেঙে তাঁরা কিছু করেননি।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিজেপি ভেবেছিল নন্দীগ্রামের মতো এখানেও কারসাজি করবে। কমিশনকে কিনে নেবে ভেবেছিল! কোথায় রিগিং হয়েছে? মাইক্রো-অবজার্ভার,সিসি ক্যামেরা ছিল। বরং, বৈধ ভোটারকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করেছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি ব্যবধান হবে মুখ্যমন্ত্রীর। হারবে তো ওরা। তার পর ওদের ফুল পাঠিয়ে দেব!’’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)