জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: উৎসবে বিধিনিষেধ শুরু হয়েছিল কোভিডের প্রথম ঢেউ আসার পর থেকেই। যে কারণে গত বছরের দুর্গাপুজোও ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ম্যাড়ম্যাড়ে। মনে করা হয়েছিল সব কেটে গিয়ে এই বছরটা আনন্দের হবে। কিন্তু তার কোনও সম্ভাবনা নেই। দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশকে মুহূর্তে তছনছ করে দিয়েছে। যা গিয়েও যাচ্ছে না। এই অবস্থায় উৎসবে বাড়বাড়ন্তে ‘না’ কেন্দ্রের। চিঠি দিয়ে বেশ কিছু রাজ্য আগাম সাবধান করা হল। শুধু কী দুর্গাপুজো, ঈদ, মরহম থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের উৎসবও সব মাঠে মারা গিয়েছে। এই বছরও তা থেকে বেড়নোর কোনও রাস্তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যে কেন্দ্রের চিঠি নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সচিবের তরফে একটি চিঠি বাংলাসহ বেশ কিছু রাজ্যের কাছে পৌঁছেছে। যেখানে রাজ্যগুলোকে সাবধান করে বলা হয়েছে কোভিড সংক্রমণ আবার যে কোনও সময় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। তাই উৎসবের মরসুমে সেই সব জায়গায় যেন উৎসবে বিধিনিষেধ বজায় থাকে। ভিড় জমানো তো যাবেই না বরং স্থানীয়স্তরে কার্যত লকডাউনের নির্দেশ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বাঙালির দুর্গাপুজো এবারও ভেস্তে যেতে চলেছে।
স্থানীয়স্তরে বিধিনিষেধ আরোপ হলে স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় ভিড় জমানে, মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা যাবে না। কোভিড বিধি মেনেই করা হবে দুর্গাপুজো। গত বছর কলকাতায় মোটামুটি সব পুজোই হয়েছে। তবে তার সেই বিপুল আরম্বর ছিল না। এবার ইতিমধ্যেই সব বড় পুজোগুলো খুঁটি পুজো হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েচে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা তৈরির কাজও। তাতেই বাধ সাধছে কোভিড। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড সংক্রমণ এখনও চিন্তার স্তরে রয়েছে।
কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, সামনে রয়েছে ১৯ অগস্ট মহরম, ২১ অগস্ট ওনাম, ৩০ অগস্ট জন্মাষ্টমী, ১০ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী, ৫-১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজো ও তার সঙ্গে যুক্ত পার্বণ। তার মধ্যেই অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজি কন্ট্রোলের তরফে সাবধান করে দিয়ে বলা হয়েছে, এই সব উৎসবই সুপার স্প্রেডারের ভূমিকা নিতে পারে। যার ফলে উৎসব মিটলেই বাড়বে সংক্রমণ। সে কারণে ভিড়কে রাস্তায় নামতে দেওয়া যাবে না। যার দায়িত্ব রাজ্যের।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)