জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আবার আসছে ঘূর্ণিঝড়। Cyclone Asani ইতিমধ্যেই দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর সেটাই ঘূর্ণিঝড় হয়ে ঢুকে পড়তে চলেছে বঙ্গে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আধিক্য রয়েছে। সঙ্গে কখনও প্রবল আবার কখনও জোড়ে হাওয়াও থাকছে। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে কলকাতা তথা বাংলা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনে। ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আবহাওয়া শীতল হওয়ার পাশাপাশি আতঙ্কও কাজ করে উপকূলের বাসিন্দাদের। অতীতে ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী আন্দামানের সাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা এদিনই ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিতে পারে। তার পর তা নিম্নচাপ হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর সেটাই চিন্তার। নিম্নচাপ যত শক্তিশালী হবে ততই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বাড়বে। আশঙ্কা আন্দামান সাগর থেকে দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পার করে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ রয়েছে ওড়িশার দিকে। আর ওড়িশা প্রতিবেশী রাজ্য হওয়ায় তার প্রভাব বাংলায় বিপুলভাবে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
যেহেতু উপকূল ধৱে এই ঝড়ের পথ সে কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এর ব্যপক প্রভাব পড়তে পারে। শুক্রবার, ৬ মে দিনটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার দিন বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে বঙ্গে। বুধবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতার আকাশ বেশ মেঘলা। সন্ধের দিকে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত চলবে এমন আবহাওয়া। তাপমাত্রা কমলেও থাকবে আদ্রতা।
এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর-পূর্ভ ভারতে। একই আবহাওয়া থাকবে সিকিমেও। বুধবার থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়। এর প্রভাব দেখা যাবে দক্ষিণ ভারতেও। এক কথায় প্রবল গরম থেকে গোটা দেশই স্বস্তি পেতে চলেছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)