জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেশ কয়েকমাস হয়ে গেল। ভারতীয় ক্রিকেটে Journalist Ban-এর মতো ঘটনা নজিরবিহীন। সাংবাদিক-ক্রীড়াবিদ সম্পর্ক সব সময়ই কখনও মিষ্টি-মধুর আবার কখনও তিক্ত। কিন্তু তা এই পর্যায়ে উঠে আসতে পারে এই ঘটনা না ঘটলে কখনওই জানা যেত না। যার জেরে নির্বাসিত হতে হল এক বিখ্যাত সাংবাদিককে। জানা গিয়েছে, একই মর্মে আইসিসি-ও যেন এই পথেই হাঁটে সেই অনুরোধ জানানো হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। এই নির্বাসনের ফলে সেই সাংবাদিক, বিসিসিআই আয়োজিত কোনও ম্যাচ বা কোনও অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না।
এই একই পথে যাতে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোও হাঁটে সেই নির্দেশও বোর্ডের তরফে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাসন ২ বছরের জন্য। এমনটা যে হতে চলেছে তা আগেই জানা গিয়েছিল। এদিন তা সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হল। এর বিরুদ্ধে সেই সাংবাদিক কোনও আইনি পথে হাঁটবেন কিনা তা জানা যায়নি। বা বাকি সাংবাদিকরা কোন পক্ষ নেবেন তাও পরিষ্কার নয় এখনই।
কয়েকমাস আগের কথা। যখন ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন বাংলার উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। সেই সময় তাঁর সাক্ষাৎকার চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান সেই সাংবাদিক। কিন্তু ঋদ্ধিমান তার জবাব দেননি। ঋদ্ধিমানের জবাব না পেয়ে তিনি ঋদ্ধিকে বেশ কিছু মেসেজ পাঠান। যা সেই সময় ঋদ্ধিমানের হুমকি বলেই মনে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট সাংবাদিকের নাম না দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। আর তার পর থেকেই শুরু হয় টানাপড়েন।কে ঠিক, কে ভুল তাঁর হিসেব-নিকেশ। তাতে ঢুকে পড়ে বোর্ডও।
এর আগে প্লেয়ার-সাংবাদিক সম্পর্কে কখনও ঢোকেনি বোর্ড। এর আগে অবশ্য প্লেয়ার-সাংবাদিক সম্পর্ক এভাবে সামনেও চলে আসেনি। এর পর বোর্ড তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা ও চ্যাটের স্ক্রিনশট দেখার পর সেই কমিটি বোর্ডকে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। এর পর অ্যাপেক্ কাউন্সিলের বৈঠকে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোঝাই যাচ্ছে, ঋদ্ধির পাশাপাশি তদন্ত কমিটি এবং বোর্ডও সাংবাদিকের সেই চ্যাটকে হুমকি হিসেবেই দেখেছে। বুধবার শেষ পর্যন্ত বোর্ডের তরফে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)