শ্মশানেই নড়ে উঠল মৃতদেহ, ফের নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে!

শ্মশানেই নড়ে উঠল মৃতদেহশ্মশানেই নড়ে উঠল মৃতদেহ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শ্মশানেই নড়ে উঠল মৃতদেহ, ফের তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে!

শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার বরাহনগর এলাকার রতনবাবুর ঘাটে। এ দিন বিকালে আরজি কর হাসপাতাল থেকে শিবানী বিশ্বাস নামে এক মহিলার দেহ অন্ত্যেষ্টির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই শ্মশানে। কাগজপত্রের কাজ মিটে যাওয়ার পর সবাই যখন শিবানী দেবীর দেহ চুল্লিতে তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন, সেই সময়েই নড়ে ওঠেন ৫৫ বছরের ওই মহিলা। সকলেই ভয় পেয়ে যান। তড়িঘড়ি করে তাঁকে ফের আরজি কর হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু যে হেতু তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে, তাই ওই দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানকার মাতৃসদনে।

পুলিশ এবং শিবানী দেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমবার শরীরের নানা সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালে।কিন্তু, চিকিৎসায় সাড়া না দিয়ে শুক্রবার সকালে সেখানেই মারা যান শিবানী দেবী। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে বেলা ১১টা নাগাদ দেহ এবং ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পান তাঁর পরিবারের লোকজন। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।

বিশ্বকাপে বিশ্ব পাগল, আমরা কেন নয়?

আচার মেনে শ্মশানেই মৃতদেহ ছুঁয়ে বসেছিলেন শিবানী দেবীর এক আত্মীয়। তিনি হঠাৎ নাকি দেখেন দেহটা নড়ে উঠেছে। বার কয়েক অমন হতেই ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। পরিবারের বাকি লোকজনও ছুটে আসেন। তাঁদেরকে তিনি গোটা ঘটনাটা বলেন। তার পর বাকিরাও বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে বোঝার চেষ্টা করেন। তাঁদের অনেকেই মৃতের দেহে নাড়ির স্পন্দন শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি।

তত ক্ষণে অবশ্য শিবানী দেবীর বাড়ির লোকজন তাঁর দেহ শ্মশান সরিয়ে বাইরে এনে রেখেছেন। বাইরে গরম বলে তাঁকে সবাই মিলে হাতপাখার হাওয়াও করছেন। তত ক্ষণে খবর পৌঁছেছে কাশীপুর থানার পুলিশের কাছে। তাঁরা ওই পরিবারকে প্রস্তাব দেন শিবানী দেবীকে নিয়ে ফের আরজি কর হাসপাতালে যেতে। কারণ শ্মশানে সেই সময় কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্স আসে। শিবানী দেবীকে তোলা হয় তাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরজি করে নিয়ে যেতে বেঁকে বসে তাঁর পরিবার। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যমগ্রামের মাতৃসদনে। এ দিন রাত পর্যন্ত সেখানেই শিবানী দেবীর দেহ রাখা ছিল। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিবানী দেবী মারাই গিয়েছেন।