কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আগুনের গ্রাসে, চরম দুর্দশায় রোগীরা

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এ বার আগুনের কবলে। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ এই হাসপাতালের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ঘণ্টা পাঁচেক পর আগুন সম্পর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলেও চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগীদের মধ্যে।

পুলিশ এবং দমকল সূত্রে খবর, এ দিন সকালে এমসিএইচ বিল্ডিয়ের নীচে একটি ফার্মেসিতে আগুন লাগে। সেই আগুনের ধোঁয়াই ছড়িয়ে পড়ে ওই বিল্ডিংয়ের কার্ডিওলজি, আইসিইউ এবং মেডিসিন বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। হাসপাতালের পাশেই রয়েছে দমকলকেন্দ্র। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন।

তত ক্ষণে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বর। রোগীরা আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছেন। রোগীদের পরিবারের লোকজন যাঁরা হাসপাতাল চত্বরে ছিলেন, তাঁর ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিভিন্ন বিভাগে। অনেকে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। যাঁরা বাড়িতে ছিলেন, সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে তাঁরাও তড়িঘড়ি পৌঁছনোর চেষ্টা করেন হাসপাতালে। রোগীদের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্মীদের চেষ্টায় তাঁদের বাইরে বার করে আনেন। সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে এমার্জেন্সি বিভাগে।

সেখানে তখন সব বিভাগের রোগীদের নিয়ে আসা হচ্ছে। মেঝের উপরেই রাখা হয় ওই রোগীদের। প্রায় আড়াইশো রোগীকে রাখা হয় এমার্জেন্সির মেঝেতেই।

একে তো হাসপাতালেরই বিভিন্ন বিভাগের রোগীদের নিয়ে এসে রাখা হয় এমার্জেন্সিতে, অন্য দিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্য দিনের মতো রোগীদের ভিড় লেগেই ছিল। সব মিলিয়ে এমার্জেন্সিতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ে। বাইরে থেকে আসা রোগীদের সকলকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা মুমূর্ষূ ছিল বলে রোগীদের পরিবারগুলোর দাবি।

পরে এ দিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী অন্যত্র রেফার করার কথা জানিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি।

ক্রিকেট ছেড়ে বিমান চালক, ২১ বছরে বয়সেই খুলে রাখলেন জাতীয় দলের জার্সি

আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আগুন নেভানোর তদারকির কাজ করেন তিনি। বেলা ১২টা নাগাদ তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু, কী ভাবে আগুন লেগেছিল, তা এখনও জানান যায়নি। আগুন লাগার ফলে গোটা চত্বর তাপে তেতে রয়েছে। সেই তাপ ঠান্ডা করার কাজ শেষে জানা যাবে ঠিক কোথায় এবং কী ভাবে আগুন লেগেছিল।

গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের তরফেও আলাদা করে একটি কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন নির্মলবাবু।