জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লির রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন প্রায় ৩০ হাজার কৃষক, কারণ তাঁদের রাজধানী শহরে ঢোকার সময়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় ৩০ হাজার কৃষক দিল্লিতে প্রতিবাদ জানাতে আসছিলেন। দিল্লি ঢোকার আগেই তাঁদের গাজিয়াবাদ সীমানাতেই আটকে দেওয়া হয়। সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তাঁদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু, কৃষকরা তা মেনে নিতে রাজি হননি। জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিবাদ আন্দোলন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।
প্রায় ৩০ হাজার কৃষক মঙ্গলবার সকালে কেউ বা পায়ে হেঁটে, কেউ বা ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের মিছিল শেষ হওয়ার কথা ছিল রাজঘাটের কাছে বিশিষ্ট কৃষক নেতা চৌধরি চরণ সিংহের সমাধিস্থল কিষানঘাটে। কিন্তু, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানাতেই তাদের পুলিশ আটকে দেয়। ক্ষুব্ধ কৃষকরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানও চালায় তারা। অনেক পুলিশকর্মীর পাশাপাশি প্রচুর কৃষক ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন।
কিষানক্রান্তি পদযাত্রা কর্মসূচিতে ওই দিন সামিল হয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাঁদের একাধিক দাবি ছিল সরকারের কাছে। ঋণ মকুবের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিতে ভর্তুকি, ৬০ বছরের উপরে যে কৃষকদের বয়স, তাঁদের পেনশন দিতে হবে এবং স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ কার্যকরী করা— এই দাবিতে পথে নেমেছিলেন কৃষকেরা। হরিদ্বারের টিকাইট ঘাট থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই পদযাত্রা শুরু হয়। গোন্ডা, গোরক্ষপুর, বাস্তির মতো পূর্ব উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি আখ-নির্ভর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন।
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার তিন বিজ্ঞানীর, লেজার ফিজিক্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য
কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত জানিয়েছেন, কৃষক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিহের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা জানান। এবং বেশির ভাগ ইস্যুতেই একটা সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সদস্যরা, যারা ওই পদযাত্রার আয়োজক, জানিয়েছে, স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ চালু না করা পর্যন্ত কোনও সমঝোতা হবে না। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র যুধবীর সিংহ বলেন, ‘‘আমরা সরকারের সঙ্গে ১১ দফা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সরকার ৭টি বিষয় মানতে রাজি হয়েছে। কিন্তু, বাকি বিষয়গুলি মানতে নারাজ সরকার। সরকার জানিয়েছে, তারা বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে দেখে আমাদের জানাবে।’’
এই আলোচনা যখন চলছে, তার মধ্যেই দিল্লি সীমানায় মজুত করা হয় পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী এবং র্যাপকে।