শবর সম্প্রদায়ের সাত জনের মৃত্যু অনাহারে নয়, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মোদী-দিদি তরজা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শবর সম্প্রদায়ের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে। ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ১ ব্লকের পূর্ণাপাণি গ্রামের ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। অভিযোগ উঠছিল, খাবারের অপ্রতুলতার কারণেই ওই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলাশাসক আয়েশা রানি যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন আগেই। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে দাঁড়িয়ে একই কথা বললেন। জানিয়ে দিলেন, জঙ্গলমহলে কারও কোথাও খাবারের অভাব নেই। তাঁর দাবি, সরকার যে ভাবে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করছে, তাতে জঙ্গলমহলে ভাতের কোনও অভাব হওয়ার কথা নয়। তিনি জানান, অনাহারে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে এটা কেউ বলতে পারবে না। যাদের চালের দরকার আছে এমন প্রতিটি মানুষের কাছে কাছে চাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

লালগড়ের পূর্ণাপাণি গ্রামে সম্প্রতি ৭ শবরের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ভাবেই খাবারের অভাবকে গুরুত্ব দেননি। তাঁর মতে, খাবারের অভাব যাতে না তাকে সে কারণেই সস্তায় চাল দেয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মাথা পিছু ২ টাকা করে ৮ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম দেওয়া হয়। খাবার অভাব নেই বলেই দাবি তাঁর।

দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক -এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গত কয়েক সপ্তাহে শবরদের ওই গ্রামে ৭ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে গত সোমবার। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতির আলোচনায় ফের চলে আসে জঙ্গলমহল। কয়েক দশক আগে এই জঙ্গলমহলেরই আমলাশোলে অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। তখন বাম আমল। সেই সময়েও বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল।

যদিও জঙ্গলমহলের এই সব এলাকায় তৃণমূল সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। রাস্তাঘাট থেকে জল এবং আলোর অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু, শবরদের কোনও ভাবেই কোনও উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁরা ১০০ দিনের কাজও পান না ঠিকঠাক। অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করে দিন কাটে। সেই কাজও সব সময় তাকে না বলেই গ্রামবাসীদের দাবি। এমনকি সরকারের দেওয়া চালও যে পর্যাপ্ত নয়, সেই কথাও সংবাদমাধ্যমে বা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে জানিয়েছেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। প্রতিটি জায়গার মানুষ যাতে না খেতে পেয়ে, বিনা চিকিৎসা মারা না যায়, সেটা আমরা সব সময় দেখি। কেউ যদি ওষুধ না খান, ডাক্তার না দেখান, তা হলে কী করে কী করব!’’