জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফ্লিপকার্ট গ্রুপের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বিন্নি বনশল। তিনি ফ্লিপকার্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
কিন্তু কেন সরে যেতে হল বিন্নি বনশলকে? তাঁর বিরুদ্ধে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। যদিও একটা সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগটা আসলে যৌন নিগ্রহের। আর তার জেরেই সরে যেতে হল ৩৭ বছরের বিন্নিকে। ব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগের কথা বললেও সেটা যে ঠিক কী, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি ফ্লিপকার্ট।
চলতি বছরের মে মাসে ফ্লিপকার্ট সংস্থার প্রায় ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় মার্কিন কোম্পানি ওয়ালমার্ট। তার পর থেকেই কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তাদের হাতে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে বিন্নি সিইও-র দায়িত্ব সামলাতেন। মঙ্গলবার সেই ওয়ালমার্টের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বিন্নি সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
রাফাল চুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে নথি জমা দিল কেন্দ্র
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লিপকার্ট শুরুর দিন থেকে সংস্থার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিন্নি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল তা প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিন্নির অস্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলাতে তাঁর অযোগ্যতার প্রমাণ মিলেছে। যে সব সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তাতে সংস্থার বিপদ হতে পারত। সে কারণেই সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিন্নি বনশল। বিবৃতি প্রাকশের সময় থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়ে দেয় ওয়ালমার্ট।
বিন্নি বনশলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বলে সূত্রের খবর। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই যৌথ ভাবে তদন্ত কমিটি গড়ে ফ্লিপকার্ট এবং ওয়ালমার্ট। যদিও সেই কমিটির সামনে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন বিন্নি। কমিটি রিপোর্ট দেয়, বিন্নির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু, ওই অভিযোগ সামনে আসার পর পুরো বিষয়টি যে ভাবে পরিচালনা করেছিলেন বিন্নি, তা স্বচ্ছ নয়। এমনই জানিয়েছে ওয়ালমার্ট।
দিল্লি আইআইটির ছাত্র সঞ্জয় বনশল এবং বিন্নি বনশল ২০০৭ সালে তৈরি করেছিলেন ফ্লিপকার্ট। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা হয়ে ওঠে তাঁদের তৈরি করা সংস্থা। ২০১৮-র মে মাসে ১ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় ওয়ালমার্ট।