রাফাল চুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে নথি জমা দিল কেন্দ্র

রাফাল চুক্তিরাফাল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা দিল কেন্দ্র। আদালত নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর।

গত ৩১ অক্টোবর শীর্ষ আদালত রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কেন্দ্রকে ১০ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে গত শনিবার। অবশেষে সোমবার রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত তথ্যাদি সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

ফরাসি কোম্পানি দাসোর সঙ্গে মোদী সরকারের ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। যদিও, এই যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার দু’বছর পর ২০১৬ সালে বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পায়।

রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে ওলাঁদের তোপ, ফের মোদীকে নিশানা রাহুলের

কংগ্রেসের অভিযোগ, ইউপিএ আমলে যে দামে যুদ্ধবিমানগুলো কেনার কথা হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি দামেই তা কেনা হচ্ছে। এমনকি, এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়ে অম্বানীদেরও। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যালস লিমিটেড (হ্যাল)-এর মতো নামী সংস্থাকে বরাত না দিয়ে দাসো কেন সামরিক এই বিষয়ে অনভিজ্ঞ রিলায়্যান্সকে বরাত দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ইদানীং প্রায় সর্বত্রই এই দুর্নীতিতে নরেন্দ্র মোদীর সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।

এ দিন মুখবন্ধ খামে ফরাসি সংস্থা দাসোর থেকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ও চুক্তি সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধবিমান কিনতে কত খরচ হয়েছে সেই তথ্যই রয়েছে ওই খামে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি।

আগে যা হয়েছে

বেশ কিছু দিন ধরেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলছিলেন। তবে, এ বার তাঁর সেই অভিযোগের বন্দুকে টোটা ভরে দিয়েছেন প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। সম্প্রতি এক ফরাসি পত্রিকায় তিনি দাবি করেছেন, মোদী সরকারই অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে রাফা‌ল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে মনোনীত করতে অনুরোধ করেছিল ফরাসি সরকারকে। আর সেই কথা প্রকাশ্যে আসতেই ফের বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।

এর পরেই রাহুল অভিযোগ করেন, ‘‘প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলেছেন। কী এমন ঘটল যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী একেবারে চুপ করে গিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকে একটি শব্দও বেরোচ্ছে না! এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, হয় ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কথা স্বীকার করে নেওয়া অথবা তাঁর বলা উচিত ওলাঁদ মিথ্যা কথা বলছেন। সত্যিটা তাঁর প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উচিত।’’ যদিও রাহুল এবং ওলাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ দিন জানিয়েছেন, রাহুলের এ সব মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ।