Mamata Banerjee পাঁচ জেলার সভাপতি বদল করলেন তৃণমূলে

Mamata Banerjee

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Mamata Banerjee পাঁচ জেলার সভাপতি বদল করলেন তৃণমূলে। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে সাংগঠনিক সভায় একাধিক রদবদল আনেন তিনি। উত্তর কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বদলে তাপস রায়কে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়েছে নাকাশিপাড়ার ছয় বারের বিধায়ক কল্লোল খাঁকে। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সরিয়ে দায়িত্বে আনা হয়েছে তাঁকে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করেছেন তিনি। সেখানে আলোরানি সরকারের বদলে সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে।

তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হয়েছেন তুষার মণ্ডল। ওই জেলার সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। ওই জেলার সভাপতি পদে এত দিন ছিলেন দেবব্রত মণ্ডল। কোচবিহার জেলার সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে। ওই জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে গিরিন বর্মনকে। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দেন। মূল সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে বদলের পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সংগঠনেও বেশ কিছু বদল আনবেন বলেও এ দিনের সভায় ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা।

রাজ্যের মন্ত্রীদের একাংশের দায়িত্ব বদলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব। যা এত দিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছিলেন। অন্য দিকে, রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফিরিয়ে আনলেন পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বেও।

মমতার প্রথম মন্ত্রিসভায় ফিরহাদ পুর নগরোন্নয়ন দফতরেরই মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১০ বছর সেই দায়িত্ব সামলেছেন ফিরহাদ। নতুন প্রস্তাবে ফিরহাদকে তাঁর পুরনো দায়িত্বে বহাল রেখে পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরে আনা হয়েছে তাঁকে। যা এর আগে সামলাচ্ছিলেন চন্দ্রিমা।

চন্দ্রিমা এর আগে অর্থ দফতরেরও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। অমিত মিত্র বিধানসভা ভোটে না দাঁড়ানোয় অর্থ দফতরের ভার নিজের হাতে রাখলেও চন্দ্রিমাকে প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন মমতা। তবে এ বার চন্দ্রিমাকে ওই দফতরেরই স্বাধীন দায়িত্ব দেওয়া হল। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলে যাঁরা ভাল কাজ করেছেন তাঁদেরই বিশেষ দায়িত্ব পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই তৃণমূলের রাজ্যস্তরের সাংগঠনিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার কয়েক ঘণ্টা আগে মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা করা হয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে জানান, ১৬৬ (৩) নম্বর ধারায় মন্ত্রিসভায় কিছু বদল আনা হয়েছে। মমতা, ফিরহাদ এবং চন্দ্রিমার দায়িত্বে ঠিক কী কী বদল আনা হয়েছে তা জানাতে এ সংক্রান্ত অর্ডারের একটি ছবিও জুড়ে দেন ধনখড়। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার এই রদবদলের ব্যাপারে সোমবার বিকেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার তারিখ থেকেই লাগাতার জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার মঞ্চে দলের এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ৫ মে (যেদিন মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন) থেকেই লাগাতার কর্মসূচি করতে হবে দলের সর্বস্তরের নেতাদের। মূলত তিন ধাপে এই কর্মসূচি হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। ২ মে জয়ের পর ৫ মে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। কর্মসূচি টানা ২১ জুলাই পর্যন্ত করবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করবেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংযোগের পাশাপাশি তাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া রাত্রিযাপনের নির্দেশও দিয়েছেন মমতা।

কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তিন ধাপে এই কর্মসূচি হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে ৫ মে থেকে ২১ জুলাই। পরের পর্যায়ে ২১ জুলাই থেকে রাজ্যের উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। আবার তৃতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু হবে পুজোর পর থেকে। পরবর্তী সময়ে এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হবে। যদিও, এই কর্মসূচি শুরু হওয়া দিন হিসেবে প্রথমে মমতা ২ মে-র দিনটি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ওইদিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদেরি ঈদ থাকায় কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে ৫ তারিখ করা হচ্ছে।

রাজনীতির কারবারিরা তৃণমূলের অনুসূচিত সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চ থেকেই সেই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য এই কর্মসূচির অগ্রভাগে ছিলেন তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। মঙ্গলবার প্রশান্ত মঞ্চে থাকলেও কর্মসূচি নিয়ে যাবতীয় ঘোষণা করেছেন মমতাই। মনে করা হচ্ছে, আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)