জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ‘মমতা বলেছিলেন, তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ কর্মীই সৎ, কিন্তু সংবাদমাধ্যম তার ভুল ব্যাখ্যা করেছে’— রবিবার বিবৃতি দিযে এমন কথাই বললেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনিতে কাট মানি বিতর্কে গোটা রাজ্যে তৃণমূল ব্যাকফুটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যই বিড়ম্বনায় ফেলেছে গোটা দলকে। সেই ড্যামেজই এ বার কন্ট্রোল করতে মাঠে নামানো হল পার্থকে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
এ দিন বিকেলে ওই বিবৃতিতে পার্থবাবু লিখেছেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ভুল ব্যাখ্যা করছে। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ কর্মী, জনপ্রতিনিধি সততা ও পরিশ্রমের সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করেন। একাংশের কর্মী যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, হয় তাঁরা অন্য দল থেকে এসেছেন, নয় তো তাঁদের পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।’ এরই সঙ্গে পার্থ জুড়েছেন, ‘কিছু মিডিয়া তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করেছে।’
আরও পড়তে…
স্কুলের বাথরুমে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, কব্জিতে ক্ষত, মুখে প্লাস্টিকের ব্যাগ!
কিন্তু গত ১৭ জুন লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখতে নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। রাজ্যের সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলরদের ওই বৈঠকে মমতা জানিয়েছিলেন, অনেকেই যে বিভিন্ন সরকারি কাজে ২৫ শতাংশ করে কমিশন নেয় সে খবর তাঁর কাছে আছে। এমনকি সবার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় গরিব মানুষকে সুবিধা করে দেওয়ার নাম করেও অনেকে টাকা তুলেছেন বলে মমতা জানান।
সবাইকে টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও মমতা ওই দিনের বৈঠকে নির্দেশ দেন। কারও অধিকার নেই সরকারি কাজের বা সাধারণ মানুষের প্রাপ্য টাকা নেওয়ার, এমনটাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী— সব প্রকল্প থেকেই অনেকে কাটমানি খাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমব্যথী প্রকল্পের ২ হাজার টাকা থেকেও ২০০ টাকা কেটে নিচ্ছেন অনেকে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ দিনের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গের কোনও উল্লেখই করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মমতার ওই মন্তব্য সে দিন প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে অস্বস্তি বাড়ে শাসক দলের। বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকেই কাট মানির টাকা চেয়ে তা ফেরৎ চান। এমনকি শনিবার সকালে অই কাট মানি নিয়ে গান লিখে বিড়ম্বনায় পড়েন গায়ক নচিকেতা। খেয়েছেন যারা কাটমানি, দাদারা অথবা দিদিমণি, এসেছে সময়… ফেরত দিন, আসছে দিন…। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, নচিকেতার জবাব, ‘‘তৃণমূলনেত্রী সঠিক রাস্তা নিয়েছেন। ওঁর কাঁধে বন্দুক রেখে সবটা চালাচ্ছিল এক দল লোক। তাঁদের আর দরকার নেই। মমতা একাই একশো। ওঁর এই সিদ্ধান্তে অনুপ্রাণিত হয়েই গানটা লিখলাম।’’
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)