জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মহম্মদ শামি দেখিয়ে দিলেন জবাবটা আসলে মাঠেই দিতে হয়। এ ভাবেই জবাব দেয় আসল স্পোর্টসম্যানরা। বিশ্বকাপে তাঁর সুযোগ হয়নি গত চার ম্যাচে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমার চোট পেয়ে তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে চলে যেতেই ভরসা রাখতে হল শামির উপর। আর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই সেই জবাবটা বল হাতে দিয়ে দিলেন মহম্মদ শামি।
শুরু করলেন তিনি শেষটাও ভীষনভাবে লেখা থাকল তাঁরি নামে। শেষ ওভারে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার মান রাখলেন তিনি। শেষ ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকই ভারতকে টুর্নামেন্টের দূর্বলতম দলের বিরুদ্ধে শেষ বেলায় জয় এনে দিল ১১ রানে। না হলে এই ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হয়েই গিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সমানে সমানে লড়াই দিল আফগানরা।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৪ রানই তুলে পেরেছিল। বিরাট কোহলি সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। কেদার যাদব ছয় নম্বরে নেমে ৫২ রান করেন। এ দিন রোহিত শর্মা রান করতে পারেননি। লোকেশ রাহুল ৩০ ও বিজয় শঙ্কর ২৯ রানে আউট হয়ে যান। ধোনি ৫২ বলে ২৮ রান করে সমালোচনার মুখে পড়েন।
বল হাতে সাফল্যের পর ব্যাট হাতেও ভারতের তাবড় তাবড় বোলারদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে লড়াই দিলেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। একটা সময় ভারতকে চাপে ফেলেও দিয়েছিলনে মহম্মদ নবি। শেষ ওভারে ৫৫ বলে ৫২ রান করে আউট হলেন তিনি। আফগানিস্তানের ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান এটাই।
শেষ ওভারে বল করতে এসে মহম্মদ শামি হ্যাটট্রিক না করলে কে বলতে পারে বিশ্বকাপের প্রথমন জয়ের স্বাদ পেতেও পারত আফগানিস্তান। তেমনটা হল না। ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ রানে শেষ হয়ে গেল আফগানিস্তান।
ভারতের হয়ে চারটি উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। দু’টি করে উইকেট যশপ্রীত বুমরা, যুজবেন্দ্র চাহাল ও হার্দিক পাণ্ড্যের।
আফগানিস্তানের বল হাতে সফল সকলেই। ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। মুজিব উর রহমানস আফতাব আলম, রশিদ খান ও রহমত শাহ একটি করে উইকেট পেলেন। দু’টি করে উইকেট নিলেন গুলবাদিন নাইব ও মহম্মদ নবি। ম্যাচের সেরাও হলেন মহম্মদ শামি। এর পর কি আর এই দলে ঢোকার জায়গা পাবেন ভুবনেশ্বর কুমার? পাঁচ ম্যাচের ন’পয়েন্ট ভারতের। একই পরিমান ম্যাচ খেলে একই পয়েন্টে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)