জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুজো উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্যের আয়োজক ক্লাবগুলিকে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উপহার দিলেন তিনি।
সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে পুলিশ, দমকল, সিইএসসি-সহ বিভিন্ন দফতরের সমন্বয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রতিটি পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
কলকাতা পুরসভার মধ্যেই সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় আরও ২৫ হাজার পুজো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। তাদের সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে দিলে মোট ২৮ কোটি টাকা খরচ হবে।
পুজোয় ঘরের সাজ: কম খরচে বদলে ফেলুন ঘরের ম্যাড়ম্যাড়ে দেওয়াল
পুজো সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। মমতার কথায়, “আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহরম। আপনারা কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আগে এ রকম ছিল না। এখন উদ্ভট একটা দলের আবির্ভাব হয়েছে। সব ধর্মের ইজারা নিয়ে বসে আছে ওরা। শুধু মানুষের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়।”
গত বছরের পুজোর বিসর্জন প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা জানিয়ে দেন, এ বার ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। পুলিশের তরফে প্রথমে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন দেওয়া যাবে বলে জানানো হলেও, মমতা সেটা এক দিন বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ অক্টোবর রেড রোডে পুজো কার্নিভ্যাল হবে বলেও জানিয়ে দেন মমতা। এ বারের কার্নিভ্যালে আরও ২০টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে। মমতা জানান, আগের বার ৫৫টি পুজো কমিটি কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছিল। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ৭৫।
মমতার অভিযোগ কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়াতে গত বারের বিসর্জন নিয়ে কুৎসা করেছে। তাঁর কথায়, “কত কুৎসা! কাজ নেই কর্ম নেই। শুধু মিথ্যে কথা বলে। এক একটা ছবি দেবে। দাঙ্গা লাগিয়ে দেবে। এ ভাবেই মার্কেট করে। আগুন লাগানো সহজ। আগুন নেভানো কঠিন। আগুন নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না।”
এ দিনের সমন্বয় বৈঠকে বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গার সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীরাও।