জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লকডাউন শুরু-র ইঙ্গিত দিয়ে দিল বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুজো পরবর্তী সময়ে রাজ্যে হুহু করে বাড়ছিল কোভিড সংক্রমণ। সেই সময় সব ভুলে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছিল। কারও মুখে ছিল না মাস্ক। ছিল না সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের বালাই। তার ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। যে সংক্রমণ কমে সাড়ে চারশোতে পৌঁছে গিয়েছিল তা বেড়ে হাজারের কাছে চলে গিয়েছে। সে কারণে আগেই বলা হয়েছিল, সংক্রমণের পরিস্থিতি বিচার করে এলাকা ভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন নির্দিষ্ট করা হোক। তার প্রেক্ষিতে এদিন রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোমবার সংক্রমণের নিরিখে উঠে এসেছিল তিন নম্বরে। এবং দেখা গিয়েছে এই এলাকায় অ্যাক্টিভ কেস বেশি বাকি জায়গার তুলনায়। সে কারণে আগামী তিন দিন ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর বন্ধ থাকবে এলাকার সমস্ত দোকানপাট। শুধু অত্যাবশকীয় পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে মানুষ বাড়িতেই থাকতে বাধ্য হবে। আর সংক্রমণ ঠেকাতে সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন।
এলাকায় এলাকায় শুরু হয়েছে সতর্কতা প্রচার। যাতে মানুষ বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পড়েন এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। তবে সব থেকে কঠিন বিষয় হল এখনও এই প্রচার করতে হচ্ছে দেড় বছর কোভিডের মধ্যে কাটানোর পরও। চোখের সামনে ভয়ঙ্কর অতিমারি দেখার পরও মানুষকে প্রশাসনের সচেতন করতে হচ্ছে। যে সচেতনতা নিজেদেরই বজায় রাখা উচিত। এর সঙ্গে চলছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট বাড়ানোর পরিকল্পনাও। তবে কলকাতাকে আপাতত এই সবের বাইরে রাখা হচ্ছে। যদিও সব থেকে বেশি সংক্রমণ রয়েছে এখানেই। তবুও এখানে পরীক্ষা, সংক্রমিতকে নির্দিষ্ট করা এবং টিকাকরণের উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরেও কোভিড সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। সেই সব এলাকায় আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বেসরকারি সব অফিস ও প্রতিষ্ঠান। করা যাবে না কোনও জমায়েত। এই ক’দিন সেখানে বন্ধ থাকবে গণপরিবহণও। বন্ধ থাকবে অনাবশ্যক সব কাজ। কার্যত ওই এলাকায় এই ক’দিন পুরোপুরি লকডাউন থাকবে। প্রয়োজনে সেই এলাকায় যেতে পারবেন সরকারি কর্মচারিরা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)