জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: দার্জিলিংয়ে কর্মসংস্থান-এর কোনও অভাব নেই। এক কথায় এই জেলাকে সোনার খনি বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মঙ্গলবার তিনি কার্শিয়াংয়ে সেরেছেন প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানেই উঠে এলে সেই জেলার কর্ম সংস্থানের ঘাটতির কথা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এই রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তবে কীভাবে তা কাজে লাগাতে হবে সেই পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেই প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আমাদের সামনে থাকা জিনিসকে আমরা দেখতে পাই না। কীভাবে সেই সবকে কাজে লাগানো যায় তার ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি।
সিকিম ইতিমধ্যেই রাজ্যের ঝর্ণার জলকে পানিয় হিসেবে ব্যবহারের কনা নির্দেশ দিয়েছে। আগামী বছর থেকে সে রাজ্যে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে বোতলবন্দি জল। সেই পথেই হাঁটার কথা বললেন মমতা। তিনি বলেন, ঝর্ণার জলকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে ওয়াটার বটলিং প্ল্যান্ট তৈরি করা সম্ভব। সঙ্গে পাহাড়ের যেটা মূল অস্ত্র তা হল পর্যটন শিল্প। তাতে জোড় দেওয়ার কথা বলেন আরও বেশি করে। তাতেও দার্জিলিংয়ে কর্মসংস্থান বাড়বে।
এদিকে, এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই পাহাড় সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের কথা দিলেন তিনি। পাহাড়ের মানুষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি সুযোগ চাইলেন কাজ করার, সঙ্গে পাহাড় সংক্রান্ত সব সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করার। পাহাড়ে ছোট, বড় সব দলকে এক জোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের অশান্তি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রায় কমেই গিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রতিদিনই পাহাড়ে আগুন জ্বলত। নষ্ট হয়েছে কত সম্পত্তি। পৃথক রাজ্যের দাবিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি, বলে মনে করেন তিনি। সেই সব ভুলে একজোট হয়ে কাজ করলে যে পাহাড়েরই ভাল হবে তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন তিনি। শুনে নিন কার্শিয়াং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক—
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)