জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: শহরে পর পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। একই মাসে পর পর তিন অভিনেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালেই উদ্ধার হয়েছে মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ। একই দিনে সল্টলেকে উদ্ধার হল মা ও মেয়ের দেহ (Mother-Daughter Suicide)। দেহের পাস থেকে পাওয়া গিয়েছে বিষের শিশি। সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৫ নম্বর বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মা ও মেয়েকে। এই বাড়ির তিনতলায় থাকতেন তাঁরা। মায়ের নাম সুপর্ণা ঘোষ ও মেয়ে স্নেহা ঘোষ। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীরা ঘর থেকে জল বেরতে দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেননি। কিন্তু জল বেরনোও বন্ধ হয়নি। তখনই সন্দেহ হয় তাদের যে কিছু ঘটেছে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়েই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে মা ও মেয়ের দেহ।
সাময়িকভাবে মনে করা হচ্ছে অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। কারণ একমাস আগেই অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে গৃহকর্তা আশিস ঘোষের। তিনি সুপর্ণার স্বামী ও স্নেহার বাবা। মেয়ে স্নেহারও বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে আগেই। তার পর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। আশিস ঘোষের মৃত্যুর পর দু’জনেই অবসাদে চলে যান। মনে করা হচ্ছে সে কারণেই আত্মহত্যা করেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন তাঁরা। তবুও তদন্ত করছে পুলিশ। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে কিনা। পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট। ঘরের মেঝেতে পড়েছিলেন সুপর্ণা আর বিছানায় স্নেহা। সেই ঘরেই রাখা ছিল গৃহকর্তা আশিসের ছবি। সেই ছবির সামনেই সুইসাইড নোট আর সঙ্গে ২০ হাজার টাকা রাখাছিল। সুইসাইড নোটে প্রশাসনের উদ্দেশে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তাঁদের পারলৌকিক কাজ যেন করা হয়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)