জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। দু’দিনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল Texas School Shooting-এ মৃত শিক্ষিকার স্বামীর। শিক্ষিকার নাম ইরমা গার্সিয়া। বন্দুকবাজের হাত থেকে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁচাতেই প্রাণ দেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন স্বামী জো। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় জো-র। গো ফান্ড মি-পেজের মালিক ডেবরা অস্টিন জানিয়েছেন ইরমা তাঁর তুতো বোন। তিনিই তাঁর পেজে জো-র হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস তাঁর জীবনের ভালবাসা তাঁর স্ত্রীর শোকেই মৃত্যু হয়েছে জো-র।’’
২৪ বছরের বিবাহিত জীবন ছিল তাঁদের। তাঁদের ৪ সন্তান রয়েছে। সেদিনস্কুলে বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল আরও এক শিক্ষিকা ইভা মিরেলেসেরও। খুনি ১৮ বছরের সালভাদর রামোস স্কুলের ভিতরে ছিল ৪০ মিনিট। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গিয়েছে ততক্ষণ। যতক্ষণ না পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে আটকাতে পুলিশের কেন এত দেড়ি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার ফলে ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এবার মুখ খুলেছেন বন্দুকবাজের মা আদ্রিয়ানা রেইস। তিনি জানিয়েছেন, ছেলে খুব আক্রমণাত্মক হলেও দানব ছিল না। এবং তিনি জানতেন না ছেলে হাতিয়ার কিনেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার কখনও কখনও অস্বস্তি লাগত, যেমন ও কী করছে? সবারই কিছু না কিছু নিয়ে রাগ থাকে, কারও অনেকের থেকে বেশি থাকে। ওই বাচ্চাদের কী বলব (কাঁদতে কাঁদতে)।’’ রামোসের বন্ধুরা জানিয়েছেন, ‘‘স্কুলে ওর উপরই যে অত্যাচার হত তা নয়, ও নিজেও একই কাজ করত।’’
ঘটনার আগের দিনই ১৮তম জন্মদিন ছিল রামোসের। এক সপ্তাহ আগেই বন্দুক কিনেছিল সে। পুলিশ এখনও খোঁজার চেষ্টা করছে, কেন এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল রামোস। বন্দুকের সঙ্গে সে ৩৭৫ রাউন্ড গুলি কিনেছি ১৮ মে। তার দু’দিন বাদে দ্বিতীয় রাইফেলটি কিনেছিল। ঘটনার আগের দিন সকালে রামোস সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখে, সে তার ঠাকুমাকে আক্রমণ করতে চলেছে। স্কুলে যাওয়ার আগে সে তার ঠাকুমাকে গুলি করে। সেটাও সে জানায় সোশ্যালে। এবং এলিমেন্টারি স্কুক তার পরবর্তী লক্ষ্য। তার পরটা তো সকলেরই জানা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)