জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ১০ নম্বর জাতীয় সরকে ধস নেমে বন্ধ বাংলা-সিকিম যোগাযোগ। এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েকবার এই থে ধসের ঘটনা ঘটল। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও চলছে টানা বৃষ্টি। পাহাড়েও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে টানা। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় কম বেশি ধসের ঘটনা ঘটছেই। এমনিতেই ১০ নম্বর জাতীয় সরক ধস প্রবন। অল্প বৃষ্টিতেই ধসের ঘটনা ঘটে। আর এবার গত কয়েকমাস ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে সর্বত্র। বর্ষায় এমনিতেই পাহাড়ে বৃষ্টি বেশি হয়। তার মধ্যে এবার গোটা দেশে বৃষ্টির পরিমান অনেক বেশি হওয়ায় পাহাড়ের ধসের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। হিমাচলে পর পর ধসের কবলে পড়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন ফের ১০ নম্বর জাতীয় সরকে ধস নেমেছে সকালে। দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এর আগে এই ধসে মৃত্যু হয়েছিল সেবক-রংপো রেলপথে কর্মরত শ্রমিকের। এদিন ধস নামে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে অবস্থিত হাতিশুঁড়ের কাছে। বুধবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। পাহাড়ে এখনও বৃষ্টি চলছে যার ফলে ধস সরানোর কাজে ব্যাঘ্যাত ঘটছে মাঝে মাঝেই। এখনও কোনও হতাহতের খবর নেই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি থাকবে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল।
বুধবার এই সব জেলাতেই বৃষ্টির প্রকোপ আরও বাড়ে এবং তা অতি ভারী বৃষ্টির রূপ নেয়। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত পৌঁছনোর কথা আগেই বলা হয়েছিল। তারই ফল বুধবার রাতভর বৃষ্টি। রবিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টির প্রকোপ উত্তরের জেলাগুলিতে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)