বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচার করলেন নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে

বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীবেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচার করলেন। রবিবার বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩৬তম জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রসঙ্গ এনেছেন। জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই সিএএ। আর এই সংশোধনী আইন নিয়ে সাধারণের মনে যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে, তা দূর করার জন্য যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

এখানেই থামেননি মোদী। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক সভার কায়দায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হাত তুলে মতামত জানাতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক পড়ুয়াই হাত তুলে তাঁকে সমর্থন করেন। পরে তিনি জানান, ‘‘যে সহজ সত্যটা আপনারা অনেকেই বুঝছেন, তা রাজনীতির খেলোয়াড়েরা বুঝতে পারছেন না।’’

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় উত্তাল হয়েছে রাজ্য। কিন্তু সে সবকে তিনি যে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি সিএএ নিয়ে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে জানার আগ্রহ থাকলেও তাঁদের অনেককেই ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মোদী।

যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়েই মোদী এ দিন সিএএ-র প্রসঙ্গে বলা শুরু করেন। বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে খুবই চর্চা চলছে। এটা নিয়ে আসা কি খুব জরুরি ছিল? ভারতের যুব সমাজ জাগ্রত। তাঁরা বুঝছেন, কেন এই সংশোধনী আনতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেউ কেউ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। ভুল ধারণার শিকার হচ্ছেন।’’

বেলুড় মঠে সকালের অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনা করে আসার পরেই কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী টেনে আনলেন রাজ্যের দালাল-সিন্ডিকেটরাজ এবং কাটমানির কারবারের অভিযোগ। বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকার যে যোগ দেয়নি, সেই প্রসঙ্গও তোলেন তিনি।

বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন বক্তব্য পেশ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক নেতারা। সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, মোদী মানুষের ভাল হওয়ার কথা বলছেন। মানুষের ভাল করতে গেলে তো কর্মসংস্থান করতে হয়, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হয়, কালো টাকা ফেরাতে হয়, স্কুল-হাসপাতাল গড়তেও হয়!

আবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বেলুড় মঠের মতো জায়গায় প্রধানমন্ত্রী রাজনীতির কথা বলেছেন। বিভ্রান্তি বিজেপিই তৈরি করেছে। ভোটের আগে থেকে বাংলা এবং নানা জায়গায় মোদী কী কী বলেছেন, সেগুলো মনে করে দেখলেই বোঝা যাবে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)