সনি নর্দে কি এ বার লাল-হলুদ জার্সিতে, খেলতে পারেন ১৯-এর ডার্বি!

সনি নর্দেছবি সনি নর্দের ফেসবুক থেকে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সনি নর্দে এ বার লাল-হলুদ জার্সিতে। সবুজ-মেরুন জার্সি ছেড়েছেন আগেই। কিন্তু মোহানবাগানের প্রাণভোমরা যে লাল-হলুদ জার্সি পরবেন তা কে ভেবেছিল। হোসে র‍্যামিরেজ ব্যারেটোর পর তিনিই জায়গা নিয়েছিলেন সবুজ তোতার। একটা সময় ব্যারেটোর মতো তিনিও ঘোষণা করেছিলেন, মোহনবাগান ছাড়লে অন্য যে কোনও ক্লাবে তিনি খেলতে পারেন কিন্তু চির প্রতিদ্বন্দ্বি ইস্টবেঙ্গলেএ খেলবেন না কোনও দিনও। তবে পেশাদার ফুটবলে যে এই প্রতিজ্ঞা ধরে রাখা সম্ভব নয় তা তিনি প্রমাণ করে দিলেন।

আজারবাইজানের ক্লাব জিরা এফসিতে খেলছিলেন তিনি। কিন্তু কোচের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। নতুন ক্লাব খুঁজছিলেন। এর মধ্যে ভারতের একাধিক ক্লাবের থেকে অফারও পাচ্ছিলেন। ভারতের প্রতি একটা আলাদা ভালবাসা রয়েছে তাঁর। কিন্তু যথোপযোগ্য টাকা পাচ্ছিলেন না। তাই সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নিলেন।

ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও তাঁকে পেতে ঝাঁপিয়েছিল পঞ্জাব এফসি ও গোকুলাম। কিন্তু বিরাট টাকার অফার দিয়ে বাজি মাত করল ইস্টবেঙ্গল। জানা যাচ্ছে ১৮ হাজার ডলারের অফার দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল যা বাকি দুই ক্লাবের থেকে ছয় থেকে আট লাখ ডলার বেশি। সঙ্গে রয়েছে লোভনিয় ইনসেনটিভেরও হাতছানি।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেমন চাইছে তেমনই লাল-হলুদ সমর্থকরাও মুখিয়ে রয়েছে সোনি নর্দেকে তাঁদের জার্সিতে দেখতে। আর সেটা যদি হয় ডার্বিতে তা হলে তো কথাই নেই। আই লিগের ডার্বি পিছিয়ে করা হয়েছে ১৯ জানুয়ারি। আর ইস্টবেঙ্গল চেষ্টা করছে তার আগে সনিকে উড়িয়ে এনে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই তাদের হয়ে অভিষেক করিয়ে দেওয়া। শুধু বাধ সাধছে অগ্রিমের টাকা। যেটা সনি নর্দে চাইছেন সেটা ইস্টবেঙ্গল দিতে রাজি হচ্ছে না। এই অবস্থায় বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে কবে আসবেন সনি। তবে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে তাঁর খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশের দলের হয়ে কলকাতায় আইএফএ শিল্ড খেলতে এসেছিলেন সনি নর্দে। তখনই নজর কেড়ে নেন তিনি। ফাইনালে পৌঁছে তাঁর দল মহমেডানের কাছে হেরে যায়। কিন্তু কলকাতার মাটিতে নিজের নামের ঝান্ডা উড়িয়ে যান এই হাইতিয়ান। পরের বছরই লড়াই করে বাংলাদেশের ক্লাবের হাত থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসে মোহনাবাগান। সময় নেননি গঙ্গা পাড়ের ক্লাবের প্রাণভোমরা হয়ে উঠতে।

তবে তিনি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলে মোহনবাগান জনতার এই ভালবাসা হারাবেন নিশ্চিত। কিন্তু পেশাদার ফুটবল এটাই। আপাতত তিনি দুবাইতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকেই ভারতে আসার কথা। জিরা এফসির থেকে ইতিমধ্যে রিলিজও নিয়ে নিয়েছেন তিনি।

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)