জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুজোয় বৃষ্টি কি হবে? এই প্রশ্ন আপাতত ঘুরে বেড়াচ্ছে বঙ্গবাসীর মুখে মুখে। তাদের আশঙ্কাকে বেশ খানিকটা উস্কে দিল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। যার জেরে আগামী ১০ থেকে ১২ অক্টোবর ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আর ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ রাজ্যেও ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এ রাজ্যেও। যার জেরে রাজ্যের উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।
আর এই পূর্বাভাস দেখে চোখ কপালে তুলেছে বাঙালি। কারণ, আবহাওয়া দফতর বলেছে এই গোটা প্রক্রিয়াটা একটু পিছিয়েও যেতে পারে। ফলে, নিম্নচাপ না সরলে এই বৃষ্টিবাদল পুজোর সময়েও হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।”
রজত কাপুর মেনে নিলেন, দুঃখ প্রকাশ করলেন তাঁর ব্যবহারের জন্য
সোমবার ছিল মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ দিন। মঙ্গলবার থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী সোমবার ষষ্ঠী। আবহাওয়া দফতরের এখনকার হিসাব অনুযায়ী শনিবার অবধি বৃষ্টি হবে। কিন্তু, নিম্নচাপ যদি না সরে, তা হলে? সেখানেই বিপদ। ওই নিম্নচাপের জেরে এ রাজ্যে বৃষ্টি হবে। এ ছাড়া নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হবে কি না, সে ব্যাপারেও জোর দিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
দেখে নিন আবহাওয়া দফতরের দেওয়া লাইভ উপগ্রহ চিত্র
আর এটাই পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। শুধু কি উদ্যোক্তা? আপামর উৎসবপ্রেমী মানুষ এখন বৃষ্টি-বাদলের চিন্তা মাথায় নিয়েই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। পাশাপাশি এই কলকাতা শহরে একাধিক পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গেল। তার বেশ কয়েকটি হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। মহালয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী বাগবাজার সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী, যোধপুর পার্ক, সুরুচি সঙ্ঘের মতো একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন।
শহরের একাধিক বড় বড় পুজো উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর প্যান্ডেলগুলিতে অল্পবিস্তর ভিড় দেখা যাচ্ছে। কেনাকাটা করতে এসে অনেকেই ওই সব প্যান্ডেল ঘুরে আসছেন। তবে সকলের মাথাতেই রয়েছে বৃষ্টির চিন্তা। যদি পুজোর সময় বৃষ্টি হয়, তাই আগেভাগেই অনেকে প্রতিমা দর্শনের কাজটা সেরে রাখতে চাইছেন।