জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বিয়েতে (Relatives Marriage)। কাছের মানুষরা যেমন সবার শেষে খেতে বসেন তিনিও তার ব্যতিক্রম করেননি। কিন্তু সেটাই কাল হল রবি চৌধুরীর। আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বাগডিহা গ্রামের বাসিন্দা কুষ্ণা চৌধুরীর বিয়েতে গিয়েছিলেন রবি। শুক্রবার রাতে যখন পরিবারের লোকেরা খেতে বসে তখন খাবার দিতে অস্বীকার করে ক্যাটারারের কর্মীরা। শুরু হয় বচসা থেকে হাতাহাতি। ক্যাটারার কর্মীদের হাতে বেধরক মার খেতে হয় রবিকে। রবিসহ জখম হন আরও দু’জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে।
কিন্তু শনিবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় আবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেল মৃত বলে ঘোষণা করা হয় রবিকে। তার আগে বাড়িতেই জ্ঞ্যান হারান রবি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পরিবারের তরফে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে রবির পিঠে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ক্যাটারার কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় প্রাণ যাওয়ার ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। আনন্দের আবহে মুহূর্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার। জানা গিয়েছে বর্ধমান থেকে সপরিবারে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন রবি। এমনটা অতীতে দেখা গিয়েছে, শেষে যাঁরা খেতে বসেন তাঁদের খাবার সঙ্কুলান হয়ে পড়ে। তাতে ক্যাটারারদের সঙ্গে ঝামেলা, ঝঞ্ঝাটের খবরও পাওয়া যায়। তা বলে মৃত্যু! কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না রবির পরিবার।
পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কী ভাবে রবির পিঠে বড় ক্ষত হল। আর চিকিৎসক কীভাবে সেটা এঁড়িয়ে গেলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর যে কারণে ছেড়েও দেওয়া হল তাঁদের। পরিবারের বক্তব্য যদি চিকিৎসা হত তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন রবি। কিন্তু হালকা চোটকে গুরুত্ব দেয়নি কেউই। কিন্তু রবির মৃত্যু প্রমাণ করে দিচ্ছে অভ্যন্তরিন কোনও বড় আঘাত লেগেছিল রবির। যা বাইরে থেকে বোঝা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই ক্যাটারং সংস্থার কর্মীরা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)