জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Renu Khatun সরকারি চাকরি পাওয়ায় পর স্ত্রীর কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় রেণু খাতুন নামে ওই তরুণী আপাতত দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার রাতের পর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ায় ওই কব্জি আদৌ জোড়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে বাড়ি শেখ মহম্মদের বাড়ি। আট বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন রেণুকে। জানা গিয়েছে, রেণু ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি নার্সিংয়ের ছাত্রী ছিলেন। বছর কয়েক আগে তিনি দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে চাকরি পেয়েছিলেন। পাশাপাশি, সরকারি চাকরির প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। গত শনিবারই তিনি সরকারি কাজের নিয়োগপত্র হাতে পান। খবর পেয়ে নার্সিংহোম থেকে সোজা বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন। তার পর সেখান থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরেন। ওই রাতেই টিন কাটার কাঁচি দিয়ে স্ত্রীর হাতের কব্জি কেটে দেন শেখ মহম্মদ।
রেণুর দাবি, তিনি সরকারি চাকরি পেয়ে সংসার ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারেন। এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ তার হাতের কব্জি কেটে দেন। এই কাজে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন শেখ মহম্মদের কয়েক জন বন্ধু। এই ঘটনায় শেখ মহম্মদ, তার বাবা, মা এবং তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সকলেই পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
এর পরেও রেণু সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ঠিক যেমন ভাবে সংশয় হয়েছে, তাঁর কাটা কব্জি ফের জোড়া লাগানো যাবে কি না তা নিয়ে। রেণু পুলিশকে জানিয়েছে, শনবিরা শ্বশুরবাড়ি ফেরার পর তিনি রাতের খাবার খেয়ে শুতে যান। সেই সময় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এর পর শেখ মহম্মদই তাঁকে দুর্গাপুরের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়েছেন। তার পর থেক আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর।
ইতিমধ্যে রেণুর বাপেরবাড়িতেই ওই রাতে ফোন করে ঘটনার কথা জানানো হয়। এণনকি তাঁদের ওই বাড়ি থেকে মেয়ের কাটা কব্জি নিয়ে নার্সিংহোমে যাওয়ার কথাও বলেন শেখ মহম্মদের বাবা-মা। তাঁরা সেই মতো কব্জি নিয়ে নার্সিংহোমে যান। পরে কেতুগ্রাম থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন রেণুর বাবা-মা।
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google