জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: Last Local Train কখন প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে, তা নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চরম বিভ্রান্তি ছিল। পূর্ব রেল এক রকম নিয়মের কথা বলছিল। দক্ষিণ-পূরেব রেল আর এক রকম। রবিবার নবান্ন যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তাতে বলা হয়, ৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল। নাইট কার্ফু শেষে আবার পর দিন ভোর ৫টা থেকে চলাচল করবে। শেষমেষ সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন নতুন বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল, এখন থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত লোকাল ট্রেন সন্ধ্যা ৭টায় নয়, রাত ১০টায় প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে। এর ফলে সমস্ত বিভ্রান্তি কেটেছে।
রাজ্য সরকার রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টার পরে লোকাল চলবে না। এ নিয়ে যাত্রী সাধারণ থেকে রেল, সকলেই বিভ্রান্ত। সোমবার সকালে পূর্ব রেল জানায়, সন্ধ্যা ৭টায় দিনের শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে প্রান্তিক স্টেশন থেকে। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বক্তব্য ছিল, ৭টার মধ্যে সব লোকাল ট্রেন প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছবে। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন জানাল, সন্ধ্যা ৭টা নয়, প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত ১০টাতেই ছাড়বে শেষ লোকাল। এবং সেটা সোমবার থেকেই।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন। ওই দিন তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টার পরে লোকাল ট্রেন চলবে না। ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় লোকাল চলাচল বন্ধ মানে ঠিক কী, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সোমবার সন্ধ্যা হতে না হতেই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আর তার আঁচ পেতে না পেতেই সিদ্ধান্ত বদল করল রাজ্য সরকার। নবান্নের পক্ষে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টা নয়, রাত ১০টায় ছাড়বে শেষ লোকাল।
লোকাল ট্রেন না পেয়ে এ দিন সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান রেলযাত্রীরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যাত্রীরা বিকেল ৫টার পর ট্রেন না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সন্ধ্যার আগে ট্রেন ধরার জন্য অফিসফেরত কয়েক হাজার যাত্রীর হুড়োহুড়ি পড়ে যায় হাওড়ায়। ট্রেনে উঠতে না পেরে ও লোকাল ট্রেন না পেয়ে স্টেশনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। উত্তেজিত যাত্রীরা প্রথমে আরপিএফ অফিস থেকে শুরু করে আধিকারিকদের ঘরের সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)