জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নেওড়া ভ্যালিতে ফের দেখা দিল বাঘ, খুশি বন দফতর। নতুন বছরের শুরুতেই নেওড়া ভ্যালিতে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ ধরা দিল লাভা থেকে কিছুটা উপরের দিকে জঙ্গলের মধ্যে পেতে রাখা ট্র্যাপ ক্যামেরায়। ওই ছবি দেখে বন দফতরের কর্তাদের ধারণা, বাঘটি পুরুষ এবং পূর্ণবয়স্ক।
২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রথম নেওড়া ভ্যালিতে বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ধরা পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের ভিতরে পেতে রাখা বনদফতরের ক্যামেরায় ধরা দেয় একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। নেওড়ার চোদ্দ ফেরি এলাকায় ভিডিও ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘটির ছবি ওঠে। ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি নেওড়ার পেদং এলাকায় এক গাড়ির চালক আনমোল ছেত্রী নিজের মোবাইল ক্যামেরায় প্রথম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবিটি তোলেন। তার পর সেই ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঠিক পরের দিনই এলাকায় ৪টি ক্যামেরা লাগান বন দফতরের কর্মীরা।
রাজ্যের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন
এর পরে ওই বছরেরই ২৩ জানুয়ারি আলগাড়া এলাকায় ওই ক্যামেরায় ফের একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ওঠে। এর পরে নতুন করে আরও ৪টি ক্যামেরা বসায় বন দফতর। ১৫ ফেব্রুয়ারি নেওড়ার চোদ্দ ফেরিতে আরও একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ওঠে। ছবি দেখে বন দফতরের আধিকারিকরা অনুমান করেন, ওউ বাঘটি স্ত্রী। ক্যামেরায় ধরা পড়া তিনটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারই আলাদা বলে মনে করেছিল বন দফতর।
২০১৮ সালেও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে একটি বাঘ। কিন্তু ২০১৯-এ জঙ্গল জুড়ে নজরদারি বাড়ালেও দেখা মেলেনি বাঘের। তবে ইংরেজি বছরের শেষ দিনে বাঘের ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বন দফতর যদিও ওই ছবির কথা জানিয়েছে বুধবার, ১ জানুয়ারি, নতুন বছরের প্রথম দিনে। বাঘের উপস্থিতিতে খুশি বন দফতর।
বাঘের সন্ধান পাওয়ার পরে ওই এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও। চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্যে সারা দেশে বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। কড়া আইনের পাশাপাশি কড়া নজরদারিও চালানো শুরু হয় জঙ্গলগুলিতে।
১৯৯৮ এবং ২০১১-তে নেওড়া ভ্যালিতে এক পর্যবেক্ষণে বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছিলেন বনকর্মীরা। সেই সময় বাঘের পায়ের ছাপ, গাছে নখের আঁচড়, ইত্যাদি দেখে বনকর্মীরা দাবি করেছিলেন নেওড়ায় মোট ১৬টি বাঘ রয়েছে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)