তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ: সভাস্থল পরিদর্শন করে মমতা বললেন ‘আমি শুধু ওঁদের কথা শুনব’

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ আগামী শনিবার। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি এ দিন ব্রিগেড সমাবেশের মূল সুর বেঁধে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর সরকার গঠনে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে আঞ্চলিক দলগুলি। সেই আঞ্চলিক দলগুলিকে সংগঠিত করার লক্ষ্যেই শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশ।

এ দিন সন্ধ্যায় ব্রিগেড সমাবেশের সভাস্থলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি দেখতে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সরকার গঠনে আঞ্চলিক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কেন্দ্রে সরকার কারা গড়বে, সে ব্যাপারে কংগ্রেস নয়, সিদ্ধান্ত নেবে আঞ্চলিক দলগুলি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস বা বিজেপির থেকে ওই আঞ্চলিক দলগুলি অনেক বেশি আসন জিতবে। ফলে তারাই হয়ে উঠবে নিয়ন্ত্রক শক্তি।

ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমার নিজের ধারণা বিজেপি ১২৫টির বেশি আসন পাবে না। কংগ্রেস? আমি জানি না। আঞ্চলিক দলগুলিই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।’’

বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে মমতাই, বললেন দিলীপ

মমতা শনিবারের ব্রিগেডের সভাকে ইউনাইটে়ড ইন্ডিয়া র‌্যালি হিসাবে উল্লেখ করেন। ওই দিনের মেগা র‌্যালিতে যে সমস্ত আঞ্চলিক নেতার সর্ব ভারতীয় পরিচিতি রয়েছে, তাঁদের অনেকেই হাজির থাকবেন বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। তবে সেই তালিকায় থাকছেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ক, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কর্ণধার কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। কেসিআর যদিও ইতিমধ্যেই অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিরোধী জোট সমীকরণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেস যদিও আমন্ত্রিত। দলের সভাপতি রাহুল গাঁধী এই সমাবেশে আসছেন না বলেই জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে ব্রিগেডে হাজির থাকবেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

সম্প্রতি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট তৈরি করেছে বহুজন সমাজ পার্টি। ওই দলের সুপ্রিমো মায়াবতীও থাকছেন না ব্রিগেডে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর দলের তরফে তৃণমূলের মেগা র‌্যালিতে থাকছেন সতীশ মিশ্র।

এ দিন সভাস্থল পরিদর্শনের পর মমতা বলেন, “এত জন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা আসবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতেই মাঠে এসেছিলাম।”

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই অধিকাংশ নেতা শহরে চলে আসবেন। ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্যেই এই সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)