দুই দম্পতির দেহ উদ্ধার কলকাতার কাছেই দু’টি জায়গায়, পুলিশের সন্দেহ খুন

দুই দম্পতির দেহ কলকাতা শহরের একেবারে কাছেইদুই দম্পতির দেহ কলকাতা শহরের একেবারে কাছেই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দুই দম্পতির দেহ কলকাতা শহরের একেবারে কাছেই দু’টি ভিন্ন জায়গায় মিলল। পুলিশের সন্দেহ খুন! যে চার জন খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রৌঢ়। একটি ঘটনা ঘটেছে নেতাজিনগরে। আর অন্যটি নরেন্দ্রপুরে। মঙ্গলবার সকালে কিছু সময়ের ব্যবধানেই ওই মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়।

নেতাজিনগরের নেতাজি সুভাষ বসু রোডে বাড়ি দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে কলের মিস্ত্রি এসে একাধিক বার বেল বাজিয়ে ওই বাড়ির কারও সাড়া পাননি। কিন্তু, দরজায় ধাক্কা দিতেই তা কুলে যায়। দরজা খুলেই ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন, সিঁড়িঁর মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন গৃহকর্ত্রী প্রৌঢ়া স্বপ্না মুখোপাধ্যায় (৬৫)। এর পর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন দোতলার শোওয়ার ঘরে বিছানায় পড়ে আছেন স্বপ্নাদেবীর স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্যায় (৭১)। মুখে বালিশ চাপা দেওয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুরলীধর শর্মা, ডিসি সুদীপ সরকার-সহ হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

পরে পুলিশ জানায়, স্বপ্নাদেবীকে দড়ির ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। দিলীপবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ওই বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। বাড়ির দোতলায় মোট ১১টি আলমারি ছিল। তার মধ্যে ১০টি আলমারি চাবি দিয়ে খুলেছিল দুষ্তীরা। একটি খুলতে পারেনি। ওই আলমারি থেকেই পাওয়া গিয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং কয়েক ভরি গয়না। পুলিশের সন্দেহ ওই সব জিনিসপত্র চুরি করতেই আসেছিল আততায়ীরা।

অন্য দিকে, এ দিন সকালেই নরেন্দ্রপুরের তিউরিয়া গ্রামের একটি বাগানবাড়ির বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকে পাশের ঘরের বাথরুম থেকে দু’টি সুটকেস উদ্ধার করে। তার মধ্যেই মেলে এক দম্পতির বিবস্ত্র পচাগলা দেহ। মৃতদের নাম প্রদীপ বিশ্বাস (৫৫) ও আল্পনা বিশ্বাস (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা প্রদীপ তিউরিয়ার ওই বাগানবাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

সোমবারের পর থেকে তাঁদের আর দেখা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ওই বাগানবাড়িতে আসেন প্রদীপের ভাই জয় বিশ্বাস। তিনি মূল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। পরে শৌচাগার থেকে পচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিককে খবর দেন। তার পর খবর যায় পুলিশে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, একটি ঘরে মারা হয়েছে প্রদীপ ও আল্পনাকে। তার পরে দেহ দু’টি পাশের ঘরের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে সুটকেসে ভরে সেটি গায়েব করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই খুন কেন, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)