বিশ্বভারতীতে আচার্য নরেন্দ্র মোদী, ভার্চুয়াল সভায় রবীন্দ্র দর্শনেই ডুব

জিনোম সিকোয়েন্স

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিশ্বভারতীতে আচার্য নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল বক্তৃতা করলেন বৃহস্পতিবার। সেই সভায় তিনি রবীন্দ্র দর্শনেই ডুব দিলেন। নিজের সরকারের নীতি তিনি খুঁজে পাচ্ছেন রবীন্দ্র দর্শনেই, এমনটাই উপস্থাপন করলেন।

মোদীর কথায়, ‘‘উনি আমাদের গ্রাম, কৃষি, বাণিজ্যে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন। নয়া আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা চালু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথই। পৌষমেলায় বহু শিল্পী তাঁদের শিল্পকর্মবিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা পেতেন।’’ কোভিডের জন্য এ বছর পৌষমেলা হয়নি। বিশ্বভারতীর পডু়য়াদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘‘এই পৌষমেলায় যে সব শিল্পী আসতেন, তাঁদের খুঁজে বার করে তাঁদের শিল্পকর্মকে অনলাইনে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। বিক্রির জন্য তাঁদের উদ্বুদ্ধ করুন। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিন। আমাদের ভোকাল ফর লোকাল হতে হবে।’’


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিশ্বভারতীতে আচার্য নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘কবিগুরুর বড়দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাতে থাকতেন বলে সেখানে মাঝেমধ্যেই যেতেন গুরুদেব। গুজরাতের সংস্কৃতি তাঁর ভাল লাগত। আমদাবাদে থাকাকালীনই দু’টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর কিছু অংশও সেখানেই লেখা।’’

ভার্চুয়াল সভায় মোদীর বক্তব্য: ‘‘গৌরব দাও, বিশ্বভারতীর শতবর্ষে এটাই দেশের প্রার্থনা। বিশ্বভারতীতে আসা আমার কাছে গর্বের বিষয়। চিন্তন, দর্শনের সাকার রূপ বিশ্বভারতী। দেশের জন্য বিশ্বভারতীর শতবর্ষ গৌরবের বিষয়। নব ভারত নির্মাণে বিশ্বভারতীর ভূমিকা অপরিসীম। কবিগুরুর এই প্রতিষ্ঠান দেশকে শক্তি যুগিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রকৃতির সঙ্গে মিলে অধ্যন ও জীবনচর্যার শিক্ষা দিয়েছে বিশ্বভারতী। দেশের বহু পণ্ডিত দেশের উন্নয়নে সাহায্য করেছেন। ভক্তি আন্দোলনের পথিক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ভক্তির পথেই বহু মনীষী দেশের গর্ব বাড়িয়েছেন।’’

‘‘আত্মনির্ভর ভারতের এই ভাবনা শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বকে দিশা দেখিয়েছে। গুরুদেবের ভাবনায় ছিল আত্মনির্ভরতা, আমাদের দেশের কৃষি, বাণিজ্য সব কিছু আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন। আত্মনির্ভরতার জন্য গুরুদেব আত্নশক্তির কথা বলেছিলেন। তাঁর সেই ভাবনা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক,’’— এ কথাও বলেন বিশ্বভারতীতে আচার্য নরেন্দ্র মোদী ততা প্রধানমন্ত্রী।

তিনি রবীন্দ্রনাথের লেখা দিয়েই নিজের বক্তব্য শেষ করেন। বলেন, ‘‘গুরুদেবের কথা দিয়েই আমরা বক্তব্য শেষ করব, ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল, খোল দ্বার খোল। আপনারা সবাই সফল হোন, এগিয়ে যান এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলুন।’’

 

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)