জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশ জুড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবন দেখলে মনে হবে করোনাভাইরাস বিদায় নিয়েছে। কিন্তু এমন বার্তা এখনও পর্যন্ত কেউ দেয়নি (WB State Corona)। না হু বলেছে, না কোনও সরকার। মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, রুটি-রুজির ব্যবস্থা সহজে করতে পারেন সে কারণে কেন্দ্র ও সব রাজ্য সরকার কোভিড বিধি তুলে নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু কখনও বলেনি, আপনারা নিয়ম মানা বন্ধ করে দিন। কখনও এই কথা কেউ বলেনি, যে মাস্ক পরা বন্ধ করে দিন। বার বার মাস্ক পরার কথা এবং হাত স্যানিযাইজ করার কথা বলে এসেছে সকলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যার ফল দেশ জুড়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ।
যার রেশ এসে পড়ছে রাজ্যেও। এখন সামান্য মনে হলেও কখন সেটা ভয়ঙ্কর আকাড় নেবে তা কেউ জানে না। আগের দুটো ঢেউয়ে সেই প্রমাণ সকলেই হাতে নাতে পেয়েছে। তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তখন হাসপাতালের বেড থেকে অক্সিজেন সব কিছুর জন্য হাহাকার দেখা দেয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছেন না। কলকাতা শহরেরও একই চেহারা। জেলাগুলোতেও। কারও মুখে মাস্ক নেই। হাত না ধুয়েই চলছে খাওয়া-দাওয়া।
যার ফল সামান্য হলেও রাজ্যের কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে আবার। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়নি কারও। তবে পজিটিভি রেট দাঁড়িয়েছে ২০,১৮,০১২। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৩২ জন। যার ফলে মোট করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ১৯,৯৬,৫৫৬ জন। সুস্থার হার ৯৮.৯৪ শতাংশ। তবে অবহেলা চলতে থাকলে এই স্বাভাবিক জীবন আবার বাধাপ্রাপ্ত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের উপর যে ভাবে প্রভাব ফেলেছিল তার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। সেই ভয়কে উসকে দিচ্ছেন দিল্লির ঊর্ধ্বমুখি কোভিড পরিস্থিতি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছিল রাজধানী শহরের উপরই। তার পর পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে ছিল না। এবার দিল্লির পাশাপাশি কোভিডর চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় ভুগছে কেরালাও। সেখানে হুহু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লি ও আশপাশের গুগাও, নয়ডার স্কুলগুলো সবার আগে কোভিডের গ্রাসে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আইআইটি মাদ্রাজের প্রচুর পড়ুয়া একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)