জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কোভিড টিকা ঘাটতি বেশ কয়েকদিনের জন্য কমতে চলেছে। পুজোর পর পশ্চিমবঙ্গে এক সঙ্গে অনেকেই কোভিড টিকা নিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে টিকার ঘাটতি ঘিরে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে কেন্দ্রগুলো। চলছে টিকার হাহাকার। তার মধ্যেই একদিকে যেমন রয়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি তেমনই উৎসবের মরসুমে মানুষ মরিয়া হয়ে বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। ভুলে গিয়েছে কোভিড এখনও নির্মূল হয়নি রাজ্য থেকে। যার ফলে ষষ্ঠীর দিন সংক্রমণ কমলেও সপ্তমীতে আবার তা ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে। তাও হুশ নেই মানুষের। মন্ডপে মন্ডপে নেমেছে ঢল। রাস্তায় কাতারে কাতারে লোক। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং তো দূরঅস্ত মুখে মাস্ক নেই বেশিরভাগেরই। উৎসবে মেতেছে বাঙালি।
তার মধ্যে টিকার জোগান বৃদ্ধির খবর কতটা সুখবর হয়ে আসে এখন সেটাই দেখার। যে মানুষরা এতদিন টিকা নেওয়ার জন্য মারপিট করছিলেন এখন তাঁরা ঠাকুর দেখার জন্য ধস্তাধস্তি করছেন। পুজোর মধ্যে টিকা কেন্দ্রগুলোকে মাছিই তাড়াতে হবে। তাই পুজোর পরই আবার নতুন করে টিকা দেওয়া শুরু হবে। ষষ্ঠীর দিন রাজ্যে ৮ লাখ কোভিশিল্ড এসেছে। যা রাখা হয়েছে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢুকতে চলেছে রাজ্যে।
পুজো শেষ হলেই এই ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক চাইছে দ্রুত প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের টিকার দুটো ডোজ দিয়ে দেওয়া। তার মধ্যেই দেখা দিয়েছে অন্য সমস্যা। একটি করে ডোজ নেওয়া অনেককেই আর চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। হয় ফোন বদলে গিয়েছে নয় ঠিকানা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা মানুষদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রে যেতে হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
রাজ্যের হাতে কোভিড ভ্যাকসিন রয়েছে এবং আরও আসবে। এই মাসের মধ্যেই সব মিলে রাজ্যের হাতে আসবে দেড় কোটি কোভিড ভ্যাকসিন। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে এর থেকে বড় সুখবর আর কিছু হতে পারে না। এই পুরো মাসটা ধরেই চলবে নানা উৎসব। এর পর রয়েছে কালীপুজো, দিওয়ালিসহ দেশ জুড়ে বিভিন্ন পুজো-পার্বন। তার পর বড় দিন, নিউ ইয়ারও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ততদিনে ভারতের কোভিড পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল। তবে কলকাতা তথা বাংলার যা মরিয়া চিত্র দেখা যাচ্ছে দুর্গা পুজোয় তা এক কথায় তৃতীয় ঢেউয়ের অশনী সঙ্কেত।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)