জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে ভোট নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি। শুধু কী রাজ্য, গোটা দেশ তাকিয়ে বাংলার ভোটের দিকে। লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। কেউ ছাড়তে নারাজ এক ইঞ্চি জমি। ঘনঘন বাংলায় হানা দিচ্ছেন বিজেপির তাবড় সব নেতারা, সে তিনি প্রধানমন্ত্রী হোন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লক্ষ্য এবার বাংলায়। অন্যদিকে, শাসক দলও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নিজের রাজ্যকে একইভাবে দখলে রাখতে। রাজনৈতিক দলের টানাপড়েনের মধ্যেই সাধারণ মানুষকেও তৈরি হওয়ার বার্তা দিয়ে দিল নিবার্চন কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গ: নির্বাচন আট দফায়। প্রথম দফা ৩০ আসন ২৭ মার্চ (পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট ওয়ান, পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট ওয়ান)। দ্বিতীয় দফা ৩০ আসন ১ এপ্রিল (বাঁকুড়া পার্ট টু, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট টু, পূর্ব মেদিনীপুর- পার্ট টু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট ওয়ান)। তৃতীয় দফা ৩১ আসন ৬ এপ্রিল (হাওড়া পার্ট ওয়ান, হুগলি পার্ট ওয়ান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট টু)। চতুর্থ দফা ৪৪ আসন ১০ এপ্রিল (হাওড়া পার্ট টু, হুগলি পার্ট টু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট থ্রি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার)।পঞ্চম দফা ৪৫ আসন ১৭ এপ্রিল (উত্তর ২৪ পরগনা পার্ট ওয়ান, নদিয়া পার্ট ওয়ান, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, পূর্ব বর্ধমান পার্ট ওয়ান)। ষষ্ঠ দফা ৪৩ আসন ২২ এপ্রিল (নদিয়া পার্ট টু, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান পার্ট টু)। সপ্তম দফা ৩৬ আসন ২৬ এপ্রিল (কলকাতা দক্ষিণ, মালদহ পার্ট ওয়ান, মুর্শিদাবাদ পার্ট ওয়ান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ দিনাজপুর)। অষ্টম দফা ৩৫ আসন ২৯ এপ্রিল (কলকাতা উত্তর, মালদা পার্ট টু, বীরভূম)।
পুদুচেরি: এক দফা। নির্বাচন ৬ এপ্রিল। তামিলনাড়ু: এক দফা। নির্বাচন ৬ এপ্রিল। কেরালা: এক দফা। নির্বাচন ৬ এপ্রিল। অসম: তিন দফায়। প্রথম ফেজ নির্বাচন ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় ফেজ, ১ এপ্রিল। তৃতীয় ফেজ, ৬ এপ্রিল।
সব ভোটকেন্দ্র করতে হবে এক তলায়। যা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের ২০২১-এর ভোটকেন্দ্র মোট ১,০১,৯১৬। ২০১৬-তে ভোট কেন্দ্রে সংখ্যা ছিল ৭৭,৪১৩। যা আগের থেকে ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুথ সংখ্যা বেড়েছে ৩১.৬৫ শতাংশ। পাঁচ রাজ্যে মোট ৮২৪টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে বাংলায় বিধানসভা কেন্দ্র ২৯৪টি। এবার অন-লাইনে জমা দেওয়া যাবে মনোনয়ন।
তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের বেশি একত্রে যেতে পারবে না। রোড শো-তেও পাঁচটির বেশি গাড়ির অনুমতি থাকছে না। প্রচারের সময় কোন কোন জায়গা বা ময়দান ফাঁকা রাখতে হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোকে। সঙ্গে মাথায় রাখা হচ্ছে বোর্ডের পরীক্ষাকেও। পরীক্ষার দিনগুলোতে ভোট হবে না।
সব ভোটকর্মীদের কোভিড টিকাও দেওয়া হবে। ভোটদানের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। বিবেক দুবে, মৃণালকান্তি দাস থাকবেন বাংলায় বিশেষ পুলিশ অবজার্ভার হিসেবে। রাজ্যের আয়-ব্যায় পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন বি মুরলী কুমার। বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।
কোভিডের কারণে এবার নির্বাচনের অনেক বিষয়ে বদল দেখা যাবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই সব নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। তিনি ২০২০-তে কঠিন সময়ের মধ্যে বিহার ভোটের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সেই কঠিন সময়েও কী ভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ভোট দিয়েছেন। সেই পথেই এই পাঁচ রাজ্যে ভোট হবে এই বছর। করোনাবিধি মেনেই হবে ভোট।
শুক্রবার বিকেলে বাংলায় ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তার সঙ্গে ঘোষণা হল কেরালা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অসমের ভোটের দিন। এ বার বাংলায় ২৯৪, কেরলে ১৪০, তামিলনাড়ুতে ২৩৪, পুদুচেরিতে ৩০ ও অসমে ১২৬টি আসনে ভোট হবে।
(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)