মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায় পূর্ত দফতরেরও, নবান্নে ঘোষণা মমতার

মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায়মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায় কার? শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়ে দিলেন, পূর্ত দফতর মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায় এড়াতে পারে না। দোষীদের শাস্তি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর মুখ্যসচিব মলয় দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭ দিনের মধ্যে সেই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। এ দিন মলয় দে-র জমা দেওয়া সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরেরও দায়িত্ব ছিল। অবহেলা নজরে এসেছে। যে কাজ দ্রুত করা উচিত ছিল, তা ফাইল চালাচালি করতে গিয়ে দেরি হয়েছে। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। সে সব কিছুই করা হয়নি।’’ পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। দোষীদের রেওয়াত করা হবে না বলে ঘোষণা করেছেন মমতা।

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, মুখ্যসচিব তাঁর রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছেন, ২০১৬ সালে সেতু মেরামতির তথ্য জানার পরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুর্বল ওই সেতুর উপর যানবাহনের ভার কমানোর ব্যবস্থাও কেন করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওই রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য যে কম্পন তৈরি হয়েছিল তার প্রভাবে সেতু ভাঙার সম্ভাবনার উল্লেখও রয়েছে।

সেতুর পরিবর্তে দু’টি বিকল্প পথ তৈরি করতে চাইছে

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মাঝেরহাটে ভাঙা সেতু ভেঙে ফেলা হবে। ওখানে তৈরি হবে নতুন সেতু। আগামী এক বছরের মধ্যেই সেই নতুন সেতুর কাজ শেষ হবে বলে নবান্নে মমতা জানিয়েছেন। সেতু যত দিন না তৈরি হচ্ছে, তত দিন মাঝেরহাট সেতুর সমান্তরাল দু’টি রাস্তা নির্মাণে হাত দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ জন্য বজবজ লাইনে রেল লাইনের উপর দু’টি লেভেল ক্রসিং প্রয়োজন। রেলের সঙ্গে তা নিয়ে কথাও হয়েছে রাজ্যের। চিঠি দিয়ে রেলকে সে কথা জানানো হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার পূর্ত দফতর, পুলিশ ও রেল যৌথ ভাবে মাঝেরহাট এলাকায় পরিদর্শন করে এসেছে। লেভেল ক্রসিং করা যাবে কি না, তা নিয়ে রেল তাদের মতামত জানাবে। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘আশা করব, রেল সদর্থক পদক্ষেপ করবে।’’ নতুন সেতু নির্মাণে সমস্যা না থাকলেও এক বছরের মধ্যে এই সেতু কী ভাবে নির্মাণ সম্ভব হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেতু বিশেষজ্ঞদের একাংশ।