জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইডিয়াল ব্রাইড অ্যান্ড গ্রুম , তৈরি হবে বিশ্ব বিদ্যালয়ে। কোর্সের নাম বাংলা করলে দাড়াচ্ছে ‘সংস্কারি স্বামী-স্ত্রী’। সংস্কারি ভারতের এটা নতুন আবিষ্কার। এমনটাই ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ভোপালে। সেখানকার এক বিশ্ব বিদ্যালয়ে তিন মাসের স্কিল কোর্স করানো হচ্ছে। যেটৈ ভালভাবে নেননি অনেকেই।
ভোপালের বার্কাতুল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বাকি সব কোর্সের মতই গুরুত্ব দিয়ে এই কোর্সটি শুরু করেছে সেখানে। স্কুলের পরেই করা যাবে এই কোর্স। এবং কোর্স শেষে পাওয়া যাবে সার্টিফিকেটও। তা কী কাজে লাগবে সেটা অবশ্য এখনও প্রমাণিত নয়। কিন্তু বিয়ের চাকরিতে যদি এই সার্টিফিকেটের কদর শুরু হয় তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যে দেশে এরকম কোর্স হতে পারে সে দেশে এই সার্টিফিকেটেরও যে কদর থাকবে তা খুবই স্বাভাবিক।
আগামী শিক্ষাবর্ষে এই বিশ্ব বিদ্যালয়ে ‘সংস্কারি ব্রাইড অ্যান্ড গ্রুম’ কোর্স শুরু হওয়ার কথা। তিন মাসের এই কোর্সকে রাখা হয়েছে সাইকলজি, সোসিওলজি ও ওমেন্স স্টাডিজ কোর্সের ডিপার্টমেন্টের নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডিসি গুপ্তা বলেন, ‘‘এটা ঠিক সাস-বহুর মতো নয়। এর গুরুত্ব সঠিক সময়ে টের পাওয়া যাবে। আমরা মানুষের মধ্যে মনুষত্ব, মরাল ভ্যালুর সঙ্গে মনোস্তত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষা দেব।’’
গৌতম গম্ভীর এটা কী করলেন? কেন করলেন?
তাঁর মতে, এই কোর্স পারবারিক একাত্মতা বজায় রাখবে। ছেলে-মেয়েরা বাবা-মাকে ছেড়ে চলে যায় সেগুলোও নাকি বন্ধ হবে। এর মধ্যে থাকবে ‘ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ যার ফলে তাঁরা নতুন পরিবেশে গিয়ে সহজে মানিয়ে নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘‘সঠিক পথ দেখানো আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। সঙ্গে সামাজিক নীতি, গুরুত্ব বাড়ানো।’’
এই কোর্সে কী কী থাকবে তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। প্রথম ব্যাচে ৩০জন মেয়ে ভর্তি হতে পারবে। সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তিনি জানিয়েছে, এখানে ছেলেদের ভর্তি হওয়ারও জায়গা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই নিয়ে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছে না।
বিজেপির মুখপাত্র রাজো মালভিয়া বলেন, ‘‘আপনাদের তো খুশি হওয়া উচিত যদি মেয়েরা ভাল মতো শিক্ষা পায়। সে একটি পরিবারের পিলার যদি তার ক্ষমতা থাকে। যদি মায়ের মধ্যে শিক্ষা থাকে তা হলে সেটা সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে যাবে।’’ কংগ্রেস লিডার কুনাল চৌধরি বিজেপির পাল্টা দিয়ে বলেন, ‘‘ওদের আগে পড়াশোনার মান উন্নতির দিকে নজর দেওয়া উচিত।’’
এই বিশ্ব বিদ্যালয়ে ৮৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার কাজ করার কথা থাকলেও এই মুহূর্তে করেন মাত্র ৪৮ জন। তার মধ্যে নতুন কোর্স চালু হলে সেটা কী ভাবে সামলানো হবে সেটাও আলোচ্য বিষয়। কিন্তু বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে খুবই সিরিয়াস। তাঁরা দায়িত্ব নিয়েই ফেলেছেন আইডিয়াল স্বামী-স্ত্রী তৈরি করবেন। এই কোর্স কি শুধুই পুঁথিগত নাকি প্র্যাকটিক্যালও থাকবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।