জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অ্যামাজন ছাপিয়ে গেল অ্যাপলকে, বাড়ির গ্যারাজ থেকে লক্ষ-কোটি ডলারের ব্যবসায় পৌঁছে গেল তারা। ছাপিয়ে গেল অ্যাপলের ব্যবসার অঙ্ককে। তা-ও অ্যাপলের থেকে অনেক কম সময়ে এই উচ্চতায় পৌঁছ গেল অ্যামাজন।
এক মাসের মধ্যেই বাজিমাত করল এই সংস্থা। ৩২ দিন আগেই ১ লক্ষ কোটি ডলারের ব্যবসায় পৌঁছেছিল অ্যাপল। আর তার ৩৩তম দিনেই সেই লক্ষ্যকে ছাপিয়ে গেল অ্যামাজন।
৪ সেপ্টেম্বর অ্যামাজন পরিণত হল ১ লক্ষ কোটি ডলারের সংস্থায়। যাঁর পরিমাণ প্রায় ৭২ লক্ষ কোটি টাকা। অ্যাপেল এই জায়গায় পৌঁছেছিল ৩৮ বছরে। কিন্তু অ্যামাজন পৌঁছলো মাত্র ২১ বছরে। অনেক কম সময়ে এই জায়গায় পৌঁছনোর পিছনে ছিল নানা অভিনব পরিকল্পনা। নেটের দুনিয়াকে পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়েছিল অ্যামাজন। বই বিক্রি থেকে শুরু করে টিভি স্টিক, এভাবেই একটু একটু করে অ্যামাজন ঢুকে পড়েছিল মানুষের অন্দরে।
শুরুটা ঠিক কী ভাবে হয়েছিল?
আমেরিকার বাসিন্দা জেফ বেজসের মাথায় হঠাৎই আসে এই অদ্ভুত পরিকল্পনা। তিনি নাকি বই বিক্রি করবেন কিন্তু তা অন-লাইনে। সেটা ১৯৯৪ সাল। জেফ থাকতেন একটি ভাড়া বাড়িতে। সেই বাড়ির গ্যারাজেই শুরু হয় স্বপ্ন বোনার কাজ। শুরুতে শুধু বই-ই বিক্রি করতেন জেফ। ১৯৯৭ সালে তাঁর এই সংস্থাকে ব্যবসায়ীক সম্মান দেওয়া হয়। মানে নথিভুক্ত হয় তাঁর সংস্থা।
দুবাই থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানে অসুস্থ ১০০ যাত্রী
বইয়ের পর মোবাইল, ল্যাপটপ ছাড়াও যাবতীয় জিনিস যা কিনতে বাজারে যেতে হয় সব জড়ো হতে শুরু করে জেফের অ্যামাজনের অন-লাইন দোকানে। এর পর একটু একটু করে নেট জগতে একটা নাম হয়ে উঠে আসে অ্যামাজন। এর পর থেমে যেতে পারতেন জেফ। ব্যবসা চলতে শুরু করেছিল রমরমিয়ে। কিন্তু না, তিনি থেমে না গিয়ে আরও নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে থাকেন। এর পর মার্কিনন সুপার মার্কেট চেন হোল ফুড কিনে নেন। শুরু হয় অন-লাইনে খাওয়ার বিক্রি। বই যে স্ক্রিনেও পড়া যায় তাও দেখান তিনি। শুরু করেন কিন্ডল ই-রিডার। সবার শেষ যা সারা ফেলে দিয়েছে নতুন করে তা হল অ্যামাজন টটিভি স্টিক। ডিশ টিভি, কেবল টিভির ঝঞ্জাট থেকে কম মুক্তি। অনেকেই এখন টিভি দেখার জন্যে এটাই ব্যবহার করছেন।
অ্যামাজনের এই উত্থানের পিছনে রয়েছে বিভিন্ন জিনিসের পসরা। সেখানে অ্যাপেল সীমাবদ্ধ কয়েকটি মাত্র পণ্যে। আর এই বিরাট বাজারকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসাটাই অ্যামাজনের ব্যবসাকে আকাশচুম্বি করেছে। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন জেফ। অ্যামাজনের বর্তমান কর্মী সংখ্যা শুনলে অনের বড় সংস্থারই চোখ কপালে উঠবে। এই বিশ্বব্যাপি সংস্থায় কাজ করেন প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জন।