জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ, আদৌ কি ফিরতে পারবে আর মূলস্রোতে

বিদেশী পর্যটকদের সবুজ সঙ্কেত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ করল বিমান পরিষেবা। আরও একটি নাম করা বিমান সংস্থা বন্ধের মুখে। বন্ধ হয়ে গেলই বলা যায়। আগেই সব আন্তর্জাতিক বিমান তুলে নিয়েছিল জেট এয়ারওয়েজ। এ ববার ডোমেস্টিকে তালা ঝুলল। বুধবার বেশি রাতে জেট এয়ারওয়েজের সব বিমান বাতিলের কথা জানিয়ে দিল সংস্থা। যে  পরিমাণ টাকা দরকার ছিল বিমান চলাচল বজায় রাখতে সেটা পাওয়া গেল না। বিমা সংস্থার শেয়ারও নেমে গেল রাতারাতি।

একদিন আগেই জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা সংস্থার সঙ্গে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তাঁরা কোনও শেয়ারও নিজেদের নামে রাখেননি। বোর্ডকে সেই কথা তাঁরা জানিয়েও দিয়েছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আলোচনায়ও বসেছিল বোর্ড। কিন্তু তা থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।

জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে গেল ২০ হাজার কর্মী। অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন কাটছে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের। এর আগেও ঘটা করে এসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিংফিশার এয়ারলাইন্স। প্রচুর দেনা নিয়ে আদৌ ফিরতে পারবে কিনা জেয় তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এই মুহূর্তে জেটের ঘাড়ে ৮৫০০ কোটির দেনা। বাকি কর্মীদের বেতনও। কারও কারও তো তিন মাসের বেতন বাকি। যার পরিমাণও নেহাৎই কম নয়। এই অবস্থায় বাতিল হয়ে যাওয়া টিকিটের মূল্য কী ভাবে যাত্রীদের ফেরৎ দেওয়া হবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এ যাত্রায় শেষ বিমান উড়েছে বুধবার রাতে দিল্লি থেকে অমৃতসরের উদ্দেশে।এ

১৯৯২ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল জেট এয়ারওয়েজ। ২০১৯-এ তা বন্ধ হয়ে গেল। তবে জেটের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্য বিমান সংস্থাগুলো। অনেককেই চাকরী দিয়েছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। জেটের বেশকিছু বিমান নিজেরা চালানোর দায়িত্ব নিচ্ছে স্পাইস জেট। এ ভাবেও অনেকে চাকরীর সংস্থান হবে। কিন্তু বিপুল পরিমান কর্মীর কর্মসংস্থান হওয়া সম্ভব নয়। ইন্ডিগো চালকের সমস্যায় ভুগছিল বেশ কয়েকমাস ধরে। তারাও অনেক চালককে তাদের সংস্থায় ইতিমধ্যেই নিয়েছে।

(ব্যবসা-বানিজ্য সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)