জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোট হবে ১১টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৫টি আসনে। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট হবে ওড়িশার ৩৫টি এবং তামিলনাড়ুর ১৮টি আসনে।
এ দিন ভোট হওয়ার কথা ছিল তামিলনাড়ুর ভেলোর এবং ত্রিপুরার পূর্ব ত্রিপুরা আসনে। কিন্তু বিধিভঙ্গের অভিযোগে ভেলোরের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরায় ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৩ এপ্রিল।
আজ এ রাজ্যেও দ্বিতীয় দফার ভোট। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ, এই তিন আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই তিন কেন্দ্রের কোথায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই তিন কেন্দ্রে মোট ১৭৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
ভোটের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এরই মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন নেই, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। একই অভিযোগ তোলা হয় বিরোধী দলগুলির তরফেও। এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আব্দুলঘাটা প্রাথমিক স্কুল, ছত্রপুর প্রাথমিক, ছটপড়ুয়া এলাকার একটি বুথ ও ইসলামপুর ব্লকের গাইসাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইসাল প্রাথমিক স্কুলের বুথে বিক্ষোভ চলে। রায়গঞ্জ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষ, ভোটকর্মী এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মধ্যে।
অন্য দিকে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে দেরি হওয়ায় রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের ক্ষোভের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ির পুলিশকর্তারা। বুধবার দুপুর একটা নাগাদ বিবেক জলপাইগুড়ি পৌঁছন। জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া এবং জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির সঙ্গে বৈঠকের পরে দুপুর তিনটে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠকে বসেন তিনি। জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারও সেখানে ছিলেন।
বৈঠকের মাঝপথেই পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। জলপাইগুড়িতে ৪৯ কোম্পানি বাহিনী থাকছে। যে বুথগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবেন মাইক্রো পর্যবেক্ষকও। যে বুথগুলোতে রাজ্য পুলিশ থাকবে, সেখানে কিছু সময় পর পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি দেখবে। যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে না, সেখানে ক্যামেরা, মাইক্রো পর্যবেক্ষকের নজরদারি সহ সুরক্ষার নানা ব্যবস্থা করতে হয়।
এ দিন বিরোধী দলগুলো দাবি করেছে, বাহিনী থাকলেও থাকবে কেবল বুথে, কিন্তু বুথে যাওয়ার পথেই গ্রামবাসীদের আটকানো হতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ পর্যবেক্ষক জানান, ৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন বিধানসভায় মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, ভোট দিতে বাধা দেওয়ার খবর পেলেই সেখানে পৌঁছে যাবে বাহিনী।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)