কাশ্মীরে তুষারপাত, বড় ক্ষতির মুখে আপেল চাষিরা

কাশ্মীরে তুষারপাত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাশ্মীরে তুষারপাত , আর তার জেরেই মাথায় হাত আপেল চাষিদের। একেই বলে কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ।

তুষারপাতের ফলে কাশ্মীরে যাওয়া পর্যটকেরা ভীষণ খুশি। কিন্তু, ব্যবসায় প্রচণ্ড ক্ষতির ফলে পথে বসেছেন আপেল চাষিরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরফের তলায় চাপা পড়ে যাওয়া আপেল জড়ো করে প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে তা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এক চাষি। কেউ আবার ভাঙা ডাল সরিয়ে গাছ বাঁচাতে চাইছেন।

আসলে তুষারপাতের ফলে আপেল গাছ থেকে ফল পাড়ার সময়ও জোটেনি তাঁদের। কোনও কোনও চাষি ফল পেড়েছিলেন। সেই আপেল বাগানের মধ্যেই জড়ো করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, হঠাৎ এই তুষারপাতে সবই বরফের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে।

নারায়ণপুর জেলায় আত্মসমর্পণ করল ৬২ জন কট্টর মাওবাদী

নভেম্বরের শুরুতে এমন অকাল তুষারপাতে আপেল চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি ছুঁয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

 

এই তুষারপাতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। ওই এলাকার অর্থনীতি প্রায় পুরোটাই আপেল চাষের উপরে দাঁড়িয়ে। ভরা আপেলের মরসুমে সেখানে কম করে ৩৫ শতাংশ আপেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ক্ষতি হয়েছে আপেল গাছেরও।

উপত্যকার আপেল চাষি আব্দুল গনি মির বলেন, ‘‘কত টাকার ক্ষতি হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে লাখ দশেক টাকা তো হবেই। এত পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়েছিলাম। এখন সবই বরফের নীচে পচে যাচ্ছে। এত গাছ নষ্ট হয়েছে যে লাভের মুখ দেখতে আরও বছর ১৬ লাগবে।’’

অন্য একটি আপেল বাগানের মালিক মহম্মদ আশরফ জানিয়েছেন, ‘‘আপেল বেচে আগে বছরে ৪-৬ লক্ষ টাকা রোজগার করতাম। কিন্তু এখন তো কোনও ভরসাই পাচ্ছি না। এত গাছ নষ্ট হয়ে গেল। সংসার চালাব কী করে, জানি না।’’