#মিটু-তে অভিযুক্ত সাজিদ খানের শুটিংয়ে না অক্ষয়ের, সরে দাঁড়ালেন পরিচালক

#মিটু-তে অভিযুক্ত সাজিদসাজিদ খান এবং অক্ষয় কুমার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: #মিটু-তে অভিযুক্ত সাজিত খান। নেই নেই করে তিন জন তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। সে কথা শোনার পর আর তাঁর ছবিতে অভিনয় করতে নারাজ অক্ষয় কুমার। অক্ষয়ের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই হাউজফুল ৪-এর পরিচালক পদ থেকে সরে গেলেন সাজিদ। জানালেন, সব সত্য প্রকাশের পর ফের দায়িত্ব নেবেন।

রাচেল হোয়াইট, সালোনি চোপড়া এবং করিশ্মা উপাধ্যায়। প্রথম দু’জন বলিউড অভিনেত্রী। আর তৃতীয় জন সাংবাদিক। তিন জনেই সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। প্রথমে নিজের ব্লগে সালোনি তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল লিখেছিলেন। সেই লেখাকে উদ্ধৃত করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা টুইট করেছিলেন রাচেল। আর করিশ্মাও টুইটারে লিখেছিলেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সাজিদ তাঁর সঙ্গে কী ভাবে অশালীন আচরণ করেছিলেন। সব মিলিয়ে বড় বেকায়দায় পড়ে যান সাজিত খান।

এর পরেই সাজিদকে আরও বেকায়দায় ফেলে দেন অক্ষয় কুমার। সাজিত পরিচালিত হাউজফুল ৪-এ অভিনয় করছেন তিনি। কিন্তু, শুক্রবার দুপুরে আচমকাই টুইট করে অক্ষয় জানিয়ে দেন, আপাতত তিনি আর ওই ছবির শুটিং করবেন না। প্রযোজককে সবটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বলেও টুইট করেন।

#মিটু বিতর্ক নিয়ে হবে গণশুনানি, ঘোষণা মানেকা গান্ধীর

ওই টুইটে অক্ষয় লেখেন, ‘দেশের বাইরে থেকে গত কাল রাতেই পিরেছি। ফিরে এসে যে সমস্ত খবর পড়লাম, খুবই বিরক্তিদায়ক। হাউজফুল ৪-এর প্রযোজককে অনুরোধ করেছি, কোনও তদন্ত শুরু না হাওয়া পর্যন্ত শুটিং বাতিল করতে। এই ধরনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’

অক্ষয়ের এই টুইটের পর তাঁর স্ত্রী টুইঙ্কল খান্না টুইট করে লেখেন, ‘হেনস্থার এতগুলো ঘটনার কথা শুনলাম। শুনে সত্যিই ভয়ানক লাগল, কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে ওই মহিলাদের যেতে হয়েছে। হাউসফুলের সঙ্গে জড়িত সকলকে এই ইস্যুতে একটা স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন। এটা চলতে পারে না।’

অভিনেতা ঋতেশ দেশমুখ সমর্থন করেন অক্ষয়কে। তিনিও এই নিয়ে একটি টুইট করেছেন।

অক্ষয়ের টুইট করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সাজিদ খান টুইট করেন। জানিয়ে দেন, সত্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই ছবি আর পরিচালনা করবেন না।

সাজিদ ওই টুইটে লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ এবং আমার পরিবার, প্রযোজক ও হাউজফুলের তারকাদের উপর চলে আসা যে চাপ, সবেরই নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে আমি ছবির পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। যত দিন না সত্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারছি, তত দিন আর ফিরছি না। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ করছি, সত্য প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না।’’