জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আরিয়ান খান প্রমোদতরীতে ছিলেনই না, বুধবার মুম্বইয়ের আদালতে এই দাবি করলেন শাহরুখ-পুত্রের আইনজীবী। এ দিন আরিয়ানের জামিন সংক্রান্ত শুনানি ছিল। সেখানেই ওই দাবি করেন তাঁর আইনজীবী অমিত দেশাই। তাঁর দাবি, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিক গত ২ অক্টোবর রাতে যখন অভিযান চালিয়েছেন, তখন আরিয়ান খান প্রমোদতরীতে ছিলেনই না, সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মাদকপাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অবাস্তব। যদিও আদালত জানিয়েছে, জামিন সংক্রান্ত শুনানি বৃহস্পতিবারও চলবে।
অমিত দেশাই শাহরুখ খানের ছেলের হয়ে আদালতে ওকালতি করছেন। তিনি এ দিন আদালতে দাবি করেন, এনসিবি যখন প্রমোদতরীতে সে রাতে তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন সেখানে আরিয়ান ছিলেন না। তিনি মাদক নেননি। এমনকি তাঁর কাছে কোনও মাদক তো দূরঅস্ত্ কিছুই মেলেনি। অমিতের দাবি, ‘‘মাদকপাচারের তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার মক্কেলের কাছে কিছুই ছিল না। এমনকি তিনি ওই সময় ওই প্রমোদতরীতে ছিলেনও না। এটা অবাস্তব এবং মিথ্যা অভিযোগ।’’ আরিয়ান যখন ওই প্রমোদতরীতে উঠেছিলেন, তখন তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না, ফলে তিনি মাদক কিনবেন কী ভাবে— এমন দাবিও করেছেন অমিত।
যদিও এনসিবি আদালতে দাবি করেছে, জেরায় আরিয়ানের স্বীকারোক্তি, তিনি চরস জাতীয় মাদক নিতেন। যে মাদক আরবাজ মার্চেন্টের কাছে মিলেছে। যদিও আরিয়ানের আইনজীবীর দাবি, ওই স্বীকারোক্তি এনসিবি জোর করে করিয়ে নিয়েছে তাঁর মক্কেলকে দিয়ে। তিনি বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আদালত ভাল করেই জানে, এই ধরনের বিবৃতি কী ভাবে জোর করে তৈরি করা হয়!’’ এই অমিত দেশাই একটা সময়ে সলমন খানের আইনজীবীও ছিলেন।
গত ২ অক্টোবর আরিয়ান কানকে মুম্বই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরী থেকে আটক করে এনসিবি। তাঁর সঙ্গে আরও সাত জনতে আটক করা হয়। সেই তালিকায় আরবাজ মার্চেন্টও ছিলেন। ৩ অক্টোবর রবিবার সকলকেই গ্রেফতার করা হয়। এ দিন আদালতে অমিত বলেন, ‘‘এনসিবি-কে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এমন কাট-পেস্ট ধরনের কাজ করার জন্য। রিমান্ডের প্রথম আবেদনে অন্য কোনও অভিযুক্তের নাম ছিল না। এনসিবি জোর করে এই মামলায় আরিয়ানের নাম জুড়েছে।’’
যদিও এনসিবি আদালতে ফের দাবি করে, মাদকপাচার চক্রের সঙ্গে আরিয়ানের যোগ রয়েছে। ওই চক্রের হদিশ পেতে আরিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হতে পারে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)