জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জামিন পেলেন আরিয়ান খান তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পড়ে। মাদক মামলায় প্রমোদতরী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩ অক্টোবর। তার পর একাধিকবার জামিনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু আদালতে তা বার বার ধাক্কা খেয়েছে। এনসিবির দাবির কাছে ফিকে হয়ে গিয়েছে আরিয়ানের আইজীবীর বক্তব্য। বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও মাদক মামলায় স্বস্তি পেল শাহরুখ খান ও তাঁর পরিবার। গ্রেফতারের ২৬ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন শাহরুখ পুত্র। এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে এনসিবি দল তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এখন তিনি নিজেই বড় বিপাকে। তার মধ্যেই আরিয়ানের জামিন পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া ক্রুজে এক বিলাসবহুল পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুরা। সেখানেই যাত্রী সেজে ঘাপটি মেরে ছিল সমীর ওয়াংখেড়ে ও টিম। পার্টি শুরু হতেই শুরু হয়ে যায় ধরপাকড়। তার পর টানা জেরার পর ৩ অক্টোবর আরিয়ানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। শেষপর্যন্ত জেলে ছিলেন আরিয়ান ও তাঁর দুই বন্ধু। প্রথমে আর্থার রোড জেলের কোয়ারেন্টাইন সেলে রাখা হলেও কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় তাঁকে সাধারণ জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রাথমিকভাবে আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডেই আরিয়ানের জামিনের জন্য লড়ছিলেন। কিন্তু বার বার জামিন নাকট হওয়ায় আইজীবী বদল করেন শাহরুখ। দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহিতগি বম্বে হাই কোর্টে আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন। মঙ্গলবারই বম্বে হাই কোর্টে আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন মুকুল। আরিয়ানের গ্রেফতারি এবং তাঁর হাজতবাস যে আইন বহির্ভূত, সেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কাছে মাদক পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁকে মাদক নিতেও দেখা যায়নি। পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগই নেই।’’ এ দিনও আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন মুকুল।
বুধবারও আরিয়ানের জামিনের চূড়ান্ত বিরোধিতা করেছিল এনসিবি। তাদের দাবি ছিল, মাদক মামলায় তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন আরিয়ান। জামিনে মুক্তি পেয়ে গেলে মামলায় প্রভাব ফেলতে পারেন। বুধবার শুনানি শেষ না হলেও বৃহস্পতিবার আরিয়ানের আইজীবীর বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিল আদালত। এদিকে এদিন কিরণ গোসাভিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদক কাণ্ডে এনসিবির অন্যতম সাক্ষী এই কিরণ। এর সঙ্গে এই মামলার অন্যতম এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেও চলছে তদন্ত, যা করছে মুম্বই পুলিশ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)