প্রয়াত শ্রভন রাঠৌর কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আগে গিয়েছিলেন কুম্ভমেলায়

প্রয়াত শ্রভন রাঠৌর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রয়াত শ্রভন রাঠৌর ছিলেন নাদিম শ্রভন জুটির শ্রভন। ন’য়ের দশকের একটা দীর্ঘ সময় বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে শাসন করেছে এই জুটি। সেই সময় ছিল জুটি বেঁধে সঙ্গীত তৈরির রমরমা। সেই তালিকায় ছিলেন নাদিম-শ্রভনও। তাঁদের সুরে মায়ায় একটা সময় ডুবে থেকে মানুষ। আশিকি, ধরকন, সাজন, জুদাই, হাম হ্যায় রাহি পেয়ারকে, পরদেশ, রাজা হিন্দুস্তানীর গাম আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে।

এর পরটা কিছুটা কঠিন সময়। গুলশন কুমারকে খুনের দায় গিয়ে পড়ে নাদিম সৈফির উপর। গ্রেফতার থেকে বাঁচতে তিনি বিদেশ পাড়ি দেন। সেখানে বসেই তিনি এই মামলা জেতেন। কিন্তু ততক্ষণে এই জুটির সঙ্গীত পরিচালনা করার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রভন ভারতে আর নাদিম দেশের বাইরে। এক সঙ্গে কাজ করা সম্ভব ছিল না। তবে সঙ্গীত পরিচালকের জুটি ভেঙে গেলেও বন্ধুত্ব শেষ দিন পর্যন্ত অটুট ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই চিরকালের জন্য ভেঙে গেল।

তাঁরা এক সঙ্গে মিউজিক দিয়েছিলেন ডেভিড ধাওয়ানে সিনেমা ‘ডু নট ডিস্টার্ব’-এ। ২০০০ সালে দু’জনের এক সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালনা করা বন্ধ হয়েছিল। ২০০৯-এই ছবিতে আবার এক সঙ্গে পাওয়া যায় তাঁদের। তবে সেই জায়গা আর ফিরে পাননি। ততদিনে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির দখল নিয়েছে নতুন মুখ।

বন্ধুর খবরে স্বভাবতই খুব ভেঙে পড়েছেন নাদিম। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শ্রভনের। বয়স হয়েছিল ৬৬। শ্রভনের ছেলে সঙ্গীত পরিচালক সঞ্জীব রাঠৌর জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই কুম্ভমেলা থেকে ফিরেছিলেন তাঁর বাবা। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা দু’জনেই হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন। তার পরই কোভিডে আক্রান্ত হন তিনি।

সঞ্জীব বলেন, ‘‘আমরা কখনও ভাবিনি আমাদের পরিবার এমন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাবে। আমার বাবা চলে গেলেন, আমি কোভিড পজিটিভ এবং আমার মা-ও। আমার ভাইও পজিটিভ কিন্তু ও হোম আইসোলেশনে রয়েছে। কিন্তু বাবার শেষ কাজ ওকে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত সঞ্জীব ও তাঁর মা দু’জনেই হাসতাপালে ভর্তি।

এর আগে কুম্ভমেলা থেকে ফিরে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল নেপালের প্রাক্তন রাজা ও রানির। এভাবে যে আরও কত ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর হিসেব হয়তো সরকারের কাছে নেই।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)