জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ভুয়ো কোভিড টিকা নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এমনকি সেই ভুয়ো কোভিড টিকা যিনি নিয়েছেন তিনি যে সে কোনও ব্যক্তি নন তিনি একাধারে নামকরা অভিনেত্রী এবং সঙ্গে তৃণমূলের সাংসদও। বুধবারের ঘটনা। কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্পে গিয়েছিলেন অতিথি হিসেবে, সেখানে তিনি নিজেও টিকা নেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর যে মেসেজ আসে তা না আসায় সন্দেহ হয় মিমির। তার পরই তিনি কলকাতা পুরসভাকে বিষয়টি জানান। সেই সূত্র ধরেই আবিষ্কার হয় এই কেন্দ্রে ভুয়ো টিকাকরণ হচ্ছিল। উঠে আসে দেবাঞ্জন দেবের নাম।
সেখানে যে ভুয়ো টিকা দেওয়া হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়ার পরই চিন্তা বাড়তে থাকে সেই কেন্দ্র থেকে টিকা নেওয়া সকলের। ডাক্তারের সঙ্গে কথাও বলেন মিমি। ভুয়ো কেন্দ্রের টিকার ডোজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাতে না আছে কোভ্যাক্সিন না কোভিশিল্ড। এবং কোভিডের ভায়ালের তুলনায় মাপেও অনেকটাই ছোট। তাতে না ছিল ব্যাচ নম্বর বা এক্সপায়ারি ডেট। শুধু একইরকম দেখতে সবুজ স্টিকার লাগান ছিল। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ ডাঃ রণিতা সেনগুপ্ত এমনই তথ্য জানিয়েছেন এদিন।
এই ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়া ৭০ জনের পরীক্ষার করা হয়েছে। তাঁদের কারও শরীরে বিশেষ কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। কারও কারও শুধু মাথা ব্যথা বা গায়ে কালো ছোপ দেখা গিয়েছে। তাঁদের নজরে রাখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে জলের মধ্যে পাউডার গুলে বা হাম অথবা বিসিজির টিকাও দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
View this post on Instagram
তবে এদিন মিমি সেই কেন্দ্র থেকে টিকা নেওয়া সবাইকে আশ্বস্ত করতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তিনি বলেন, কেউ যেন আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন। তিনি নিজে একদম সুস্থ রয়েছেন। তাঁর ফ্যানদেরও তিনি আশ্বস্ত করেন।
দেবাঞ্জন নামের এই ব্যাক্তি নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন। স্থানীয়রা তাঁর সম্পর্কে সেটাই জানেন। এও জানা গিয়েছে, কসবার পাশাপাশি এই ব্যক্তি নর্থ সিটি কলেজেও একদিন টিকাকরণের ক্যাম্প করেছিলেন। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকরাসহ কম করে ১০০ জন টিকা নেন। তবে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, দেবাঞ্জনকে কলকাতা পুরসভার তরফে ক্যাম্প করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)