জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কবীর সুমন কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয়কে, ফেসবুকে পোস্ট। বাবুলকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, আমি রাজনীতির লোক নই। তবু আজ জীবনে প্রথম মনে হচ্ছে একটা দল খুলি। যার ভিত্তি হবে অহিংসা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাংলাবাদ আর সমাজতন্ত্র। কবীর সুমনের এই পোস্টকে উদ্দেশ্য করে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বার্তা দেন বাবুলও।
এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কবীর সুমন লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী শ্রীযুক্ত বাবুল সুপ্রিয় কিছু কাল আগে আমায় নিয়ে ফেসবুকে ঠাট্টা করেছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে স্থূল ইঙ্গিত-পূর্ণ কথা লিখে। লিখেছিলেন ‘আপনার মমতাময়ী’। আমি তাঁকে কোনও কটূক্তি করিনি। আজ তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সশব্দে। তৃণমূলের বড় বড় নেতা তাঁকে বরণ করে নিয়েছেন। আমি তৃণমূলের সমর্থক। সদস্য নই। তৃণমূল দল কাকে টেনে নেবেন সেটা একান্তই তাঁদের ব্যাপার। শুধু, ‘আপনার মমতাময়ী’ বলে গায়ে পড়ে বিদ্রুপ করা এই মুসলিমবিদ্বেষী, এনআরসি পন্থী, বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী বাবুল সুপ্রিয় মহোদয় এখন ‘তাঁর মমতাময়ী’ সম্পর্কে কী ভাবছেন তৃণমূলে তাঁর কাছের মানুষরা হয়তো জানতে চাইছেন।’
কবীর সুমন কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয়কে, এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘ফেসবুক একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম। সেখানে যে যা খুশি মন্তব্য করতে পারে। আমার ফোনে ফেসবুক, ট্যুইটার কিছুই নেই। আর তাই আমি ফেসবুকের কোনও পোস্ট পড়ি ও না। এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এটা যার যার নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আগামী কিছুদিন আমি যদি গঠনমূলক চিন্তাভাবনা করি তাতে সবারই ভাল হবে।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ২৪-ঘণ্টা পর আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল জানান, কেন তিনি বিজেপি ত্যাগ করেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘আমি প্লেয়িং ইলেভেনেই থাকতে চাই। খেলার সুযোগ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছি। মমতা ও অভিষেককে ধন্যবাদ আমাকে প্রথম একাদশে রাখায়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, আমি খুশি। ৭ বছর ধরে তৃণমূল স্তরে রাজনীতি করেছি, লড়াই করেছি। আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আমি সেই সুযোগের ব্যবহার করছি।’ বাবুল মনে করিয়ে দেন, দিল্লিতে থেকেও তিনি বাংলার জন্যই কাজ করেছেন। বললেন, ‘দিল্লিতে থেকেও আমি বাংলার জন্যই কাজ করেছি। ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর জন্যও আমি কাজ করেছি। সুরেশ প্রভুর সঙ্গে গাড়িতে করে ঘুরেছিলাম ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য। গঙ্গার তলা দিয়ে হেঁটে গেছি। কাজ তো করেছি। প্রথমবার গায়ক দেখে হয়তো ভোট দিয়েছিলেন মানুষ। দ্বিতীয়বার তো কাজ দেখে দিয়েছেন।’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)